আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধ্বসে আসাম ও মেঘালয়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় তলিয়ে গেছে আসামের ২৮ জেলার ৩ হাজারের বেশি গ্রাম। নজিরবিহীন বৃষ্টির কারণে বন্যার ভয়াবহতা আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আসামে, ৪৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু বেড়িবাঁধ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট। পার্শ্ববর্তী অরুণাচল প্রদেশের সুবানসিরি নদীর পানিতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মাণাধীন বাঁধ ডুকে গেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
এদিকে, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়ও ব্যাপক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। মাত্র ছয় ঘণ্টায় শহরে ১৪৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ত্রিপুরার জন্য নির্বাচনী প্রচারণাও এর কারণে প্রভাবিত হয়েছে। গত ৬০ বছরে আগরতলায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। বন্যার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, মেঘালয় মাওসিনরাম এবং চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সাল থেকে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদি। এ খবর টুইট করে জানিয়েছেন হিমন্ত। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উদ্ধারকারী দল, আসাম পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে শনিবার জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।