আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান থেকে হঠাৎ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন মুসলিম ও এক শিখ তিন বন্ধুকে। তারা হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত শান আনন্দ, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফাইমুল আলম, আরব-বংশোদ্ভুত। তবে তারা সবাই মার্কিন নাগরিক। বর্ণবাদী এই ঘটনাটি ঘটেছে কানাডায়।
বিমানচালক ও সেবিকারদের ‘অস্বস্তি’ বোধ হওয়ায় এই বর্ণবাদী আচরণ করে তিন বন্ধুর সাথে। সেই সাথে ‘সন্দেহ’ তো রয়েছেই। তাদের একজন বাদে বাকিদের নামের আদ্যাক্ষরই মিলেছে— ডব্লিউ এইচ এবং এম কে। সকলের বয়স আনুমানিক কুড়ির কোঠায়।
এবিপি জানিয়েছে, বিমানে ওঠার পর আনন্দ ও আলম অন্য দুই যাত্রীর সঙ্গে আসন বিনিময় করেন। যাতে চার বন্ধু একসঙ্গে বসতে পারেন। কিছুক্ষণ পর, এক বিমানসেবিকা আনন্দ ও তাঁর বন্ধুদের বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন। কেন তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছ, এই প্রশ্ন করায় বিমানসেবিকা ফের বলেন, দ্রুত নেমে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে।
আনন্দ জানান, বিমানসেবিকার ব্যবহারে তখন নিজেকে অপরাধী বলে মনে হচ্ছিল তাঁর। নির্দেশানুসারে, তাঁরা নেমে যাওয়ার পরই বিমান গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। এদিকে, নেমে আসার পর শানদের জানানো হয় যে, তাঁদের দেখে বিমানচালক ও সেবিকার ‘অস্বচ্ছন্দ’ এবং ‘অস্বস্তি’ বোধ হয়েছিল! তাই চারজনকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আনন্দ জানান, বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়, এটা প্রোটোকল!
এদিকে, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আনন্দ ও তাঁর বন্ধুরা সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হন। বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁরা ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ১০ লক্ষ করে প্রত্যেকের ক্ষতিপূরণ বাবদ এবং শাস্তিস্বরূপ বাকি ৫০ লক্ষ দাবি করা হয়েছে। আনন্দ-দের অভিযোগ, যে ভাবে বিমান সংস্থা তাঁদের প্রতি বর্ণ-বিদ্বেষমূলক আচরণ করেছেন, তাতে তাঁদের মানিসকভাবে আহত হয়েছেন।
২০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস