বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬, ০১:১৬:২৫

আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়া ফের ক্ষোভে ফুঁসছে

আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়া ফের ক্ষোভে ফুঁসছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব বসন্তের সূতিকাগার বলা হয় উত্তর আফ্রকার দেশ তিউনিসিয়াকে। রাজপথে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে এক যুবক আত্মতহত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ।


বেকারত্বের অভিশাপে দেশটির এক তরুণ আত্মহত্যা করার ২ দিন পর আবার ক্ষেভোর আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কাসেরাইনে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষুদ্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।


প্রদেশটির রাজধানীতে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বলে তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ট্যাপ জানিয়েছে।


সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ কমপক্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে ট্যাপ জানিয়েছে। আহতরা অধিকাংশ টিয়ার গ্যাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বুধবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে।


গত রবিবার কাসেরিন প্রদেশের রিদা ইয়াউয়ি নামের এক তরুণ চাকরিপ্রার্থী সম্ভাব্য সরকারি চাকরি প্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকায় নিজের নাম না থাকার হতাশায় আত্মহত্যা করে।


আলজাজিরা জানিয়েছে, ইয়াউয়ি একটি বৈদ্যুতিক খাম্বায় উঠে নিজেকে শেষ করার হুমকি দেয়। এরপর খাম্বার বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে নিজের শরীর জড়িয়ে আত্মহত্যা করে। সরকার ইয়াউয়ির আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।


কাসেরিন শহরটি আলজেরিয়া সীমান্তের নিকট জেবেল ইক চাম্বি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত।


বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে তিউনিসিয়ায় বেকারত্বের হার প্রায় ১৫.৩%। ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর এ হার ছিল ১৬.৭%। কিন্তু বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ে তিউনিসিয়ার বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ১৩%।


আরব বসন্তের ফলে তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলেও জনসাধারণের ভাগ্যের খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি।  চাকরির দাবিতে তরুণের আত্মহত্যা তিউনিসিয়ার জনগণকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত তিউনিসিয়ার জনগণ আবারো নিজেদের অধিকার আদায়ে সহিংস হয়ে উঠেছে। আবারো বিক্ষোভে উত্তাল আফ্রিকার দেশটি।
২০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে