আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ের পিঁড়ি থেকে বড় মেয়ে উঠে পালিয়েছে। এর পর ওই পাত্রের সঙ্গে ওই লগ্নেই ছোট মেয়ের বিয়ের ঠিক করেন। কিন্তু সেই সময় ছোট মেয়েও বেপাত্তা হয়ে যায়। এই জোড়া ঘটনায় লজ্জা ও অপমানে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার খাঁপুর গ্রামে। আত্মঘাতী বাবার নাম রাজকুমার মাল (৪৭)। মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পেশায় চাষী রাজকুমারের বড় মেয়ে গীতার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের মাড়গ্রাম থানা এলাকারই কয়েম্বা গ্রামের অমরেশ পালের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। রাজকুমারের বাড়ির উঠোনে বসেছিল বিয়ের আসর।
ছাদনাতলায় পাত্র–পাত্রীকে সামনে রেখে বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ শুরু করে দেন পুরোহিত। সিঁদুরদানের ঠিক আগে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে উধাও হয়ে যায় পাত্রী। অনেক খোঁজাখুঁজি করে গীতাকে খুঁজে না পেয়ে রাজকুমার ওই লগ্নেই ওই পাত্রের সঙ্গে ছোট মেয়ে রীতার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পাত্রপক্ষও রাজী হয়ে যায়।
কিন্তু হঠাৎ বিয়ের কথা শুনে রীতাও গা–ঢাকা দেয়। অগত্যা বিয়ে পণ্ড হয়ে যায়। পাত্র অমরেশ বরযাত্রীদের নিয়ে ফিরে যান। শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়ির কাছেই একটি গাছে রাজকুমারের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। মেয়েদের বিয়ে ঘিরে চরম অপদস্থ হওয়ার ধাক্কা সহ্য করতে না পেরেই রাজকুমার আত্মঘাতী হওয়ার পথ বেছে নেন বলে অনুমান। বাবার মৃত্যুতে অবশ্য এদিন দুই মেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
২৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি