আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়েছিল রেজা গুলের। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে এখনো তা-ই হয়। ফারিয়াব প্রদেশের ঘোরমাচ জেলায় বিয়ের পরের পাঁচটি বছর ভীষণ কষ্টে কেটেছে। স্বামী মোহাম্মদ খান নিয়মিত পেটাতো তাঁকে।
সম্প্রতি অত্যাচার আর সইতে না পেরে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায় রেজা গুল। তালেবান আধিপত্যের এলাকা বলে স্থানীয় তালেবান নেতাদেরও কানে যায় ব্যাপারটি। সালিশ ডেকে মোহাম্মদ খানকেও হাজির করা হয়। সমস্ত দোষ স্বীকার করে তরুণটি তখন পবিত্র কোরান ছুঁয়ে শপথ করে বলে ভবিষ্যতে আর কোনোদিন স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবে না।
মোহাম্মদ খান পবিত্র ধর্ম গ্রন্থের অবমাননা অন্তত করবে না ভেবে কয়েকদিনের মধ্যেই নির্ভয়ে স্বামীর সংসারে ফিরেছিল রেজা গুল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সংসারে ফেরার কয়েকদিনের মধ্যেই ছুরি মেরে মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে রেজার নাকটাও কেটে নিয়েছে স্বামী৷ তারপরই পালিয়েছে সে।
স্থানীয়দের ধারণা, পালিয়ে গিয়ে মোহাম্মদ খান তালেবানে যোগ দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় তালেবান নেতা এটাকে ‘গুজব' বলেই উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘মোহাম্মদ খান যা করেছে তা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক। কেন এমন করল তা বোঝার জন্য ওকে আমরাও খুঁজছি।’
একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে তালেবান। শেষ পর্যন্ত হয়ত ধরা পড়বে মোহাম্মদ খান। হয়ত শাস্তিও হবে। কিন্তু রেজা গুলের কী হবে?
এখনো স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। সঙ্গে তার দু'মাসের সন্তান। মা-মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে স্বজনরা চিন্তিত। তবে ফারিয়াব প্রদেশের প্রশাসন রেজাকে তুরস্ক পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছে। চেষ্টা সফল হলে শিগগিরই হয়ত নাক ঠিক করতে তুরস্কে আসবে রেজা গুল।-ডয়েচ ভেলে
২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন