আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাঠানকোটের হামলা নিয়ে নতুন কিছু তথ্য দিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সে সব পরীক্ষা করে দেখছে। এমন খবর জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দাভোস থেকে ফেরার পথে গতকাল লন্ডনে আসেন নওয়াজ।
সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভারতের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ আমরা চেপে যেতে পারতাম। ভুলে যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করেই বলছি, আমরা তাদের দেওয়া তথ্য পেয়েছি। সে সব এখন যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আমরা বিশেষ তদন্ত দল গড়েছি। তারা ভারতেও যাবে। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সব প্রকাশ করব।
লক্ষণীয়, গতকালই সংবাদ সংস্থা পিটিআই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জোরের সঙ্গে বলেছেন, পাকিস্তানের মাটি থেকে জঙ্গিদের নির্মূল করা উচিত পাকিস্তানের, এবং পাকিস্তান সেটা করতে পারে। ভারতে সাধরণতন্ত্র দিবসের অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদও এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাঠানকোট হামলায় পাকিস্তানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে দাবি ভারত জানিয়েছে তা সঙ্গত। বিশ্বশক্তির এই চাপের মুখে নওয়াজ বোঝাতে চান, পাকিস্তান কোনওভাবেই দায় এড়াচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের দিক থেকে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আমরা ঠিক রাস্তাতেই এগোচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই দোষীদের বিচার সুনিশ্চিত করতে পারব। পাকিস্তান আন্তরিক, পাল্টা দোষারোপের রাস্তায় গিয়ে জটিলতা বাড়াতে চায় না, তা বোঝাতে নওয়াজ বলেন, বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি–হামলার জন্য আমরা ভারতের দিকে আঙুল তুলিনি। নওয়াজ যখন এসব কথা বললেও অন্য সূত্রে খবর আসছে, জৈশ–ই–মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারতের তরফ থেকে, পাক কর্তৃপক্ষ তা খারিজ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২ জানুায়ারি হামলা হয় পাঠানকোটের বিমানসেনা ঘাঁটিতে। অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানে আশ্রিত জৈশ–ই–মোহাম্মদ জঙ্গিদের দিকে। ৫ তারিখ পাক-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির খান জানুজার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
পাকিস্তানের নম্বরে জঙ্গিদের করা ফোনের তথ্যের মতো কিছু সুনির্দিষ্ট সাবুদের ওপর পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। পাকিস্তান কিছুটা তৎপরতা দেখালেও জৈশ প্রধান মাসুদ আজহারকে ধরার ব্যাপারটি ধোঁয়াশাই থেকে যায়। তাকে এবং তার ভাই মুফতি আবদুর রহমান রউফকে আটক রাখা হয়েছে বলেই খবর।
২৬ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি