আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোমবার ভোরবেলার চিত্র। তুরস্কবাসীরা কেউ কেউ গভীর নিদ্রায় মগ্ন। কেউ আবার শরীরচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সেই মুহূর্তে হঠাৎ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ তুরস্ক। সোমবার ভোরবেলায় অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পনের উৎসস্থল দক্ষিণ তুরস্কে।
গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কিছু ক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭।
লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পে ১৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। তুরস্কে কমপক্ষে ৯১২ জন; সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশে কমপক্ষে ৩২০ জন; সিরিয়ার বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত অংশে কমপক্ষে ১৪৭ জন মারা গেছেন।
ভবনগুলি ভেঙে ফেলা এবং উদ্ধারকারীদের পাঠানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার জন্য। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত ২,৩০০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গাজিয়ানতেপ প্রদেশের গভর্নর দাভুট গুল টুইটারে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আমাদের শহরে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আপনারা শান্ত থাকুন। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করুন। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালাবেন না। দয়া করে রাস্তায় ভিড় করবেন না।’’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের টুইট শেয়ার করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা বেদনাদায়ক। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। ভারত তুরস্কের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং এই ট্র্যাজেডি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
সিরিয়াকে নিয়ে মোদি লিখেছেন, বিধ্বংসী ভূমিকম্প সিরিয়াকেও প্রভাবিত করেছে জেনে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমরা সিরিয়ার জনগণের দুঃখ ভাগ করে নিই এবং এই কঠিন সময়ে সাহায্য ও সমর্থন প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।