আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোররাতের নিশ্চিন্তের ঘুমে যখন ডুবেছিল গোটা দেশ। তখনই আছড়ে পড়ে দানবীয় বিপদ। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপে তুরস্ক ও সিরিয়ার একটা বড় অংশ। প্রাথমিকভাবে খবর আসে ৩৬০ জনের মৃত্যু। যে পরিসংখ্যানটা বেলা গড়াতেই ১৩০০ ছাড়িয়ে এগোতে শুরু করে।
এদিকে, চার হাজারের বেশি মানুষ এই এলাকায় আহত বলে খবর। এই ভয়াল বিপদের ঘটনা ১৯৯৯ সালের এক স্মৃতিকে ফের নাড়া দিয়েছে। কী ঘটেছিল এই এলাকায় সেই সময়? ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্প কারোর কাছে ইজমিত কম্পন কারোর কাছে কোসায়েলি কম্পন আবার কারোর কাছে গোলকুক কম্পন নামে খ্যাত।
সেবারও সিরিয়া ও তুরস্কের বিস্তীর্ণ ভূভাগে কম্পনে কেঁপে ওঠে দেশ। মৃত্যু হয়েছিল ১৭ হাজার মানুষের। সেই অভিশপ্ত দিন ছিল ১৭ অগাস্ট। ভূমিকম্পে দুই দেশের একটা বড় অংশের বহু ছোট খাটো গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত হয় দেশ দুটির কিছুটা অংশ।
সেবারের ভূমিকম্পের ছাপ গিয়ে পড়ে ইস্তানবুলেও। আর সেই অভিশপ্ত স্মৃতি বারবার এদিন ফিরে এসেছে ২০২৩ এর তুরস্ক সিরিয়া ভূমিকম্পে। ইজমিতের সেই ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে কয়েকটি ছোট শহর প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
অভিশপ্ত সেই দিনে ভোর ৩টা নাগাদ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইজমিত থেকে ৭ কিলোমিটার দূরের একটি স্থান। প্রথম 'শক'টি এসেছিল ১ মিনিটের মাথায়। পরে ১৯ আগস্ট আরও ২ টি আফটার শক আসে। গোলকুক, দেরিন্স, দারকার মতো এলাকায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা জানা যায়।