বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ০৭:৪৬:৫৫

মোদির এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ

মোদির এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যথাযথ কূটনৈতিক বিধি মেনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরের বৈঠকে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার। আগামী ২৯ মার্চ নয়াদিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠক হবে। ২৭ এপ্রিল হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা।

এসসিও-র বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে ভারত এই দুটি বৈঠকের আয়োজন করছে। তবে আমন্ত্রণ পেলেও কোনো পাকিস্তানি প্রতিনিধি এসসিওর জোড়া বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি, নয়াদিল্লিতে এসসিও দেশগুলোর প্রধান বিচারপতিদের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর অটা বন্দিয়াল হাজির হননি। 

ভার্চুয়াল বৈঠকে ওই দেশের সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি অংশ নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এসসিওর ৮টি সদস্যরাষ্ট্রে পৃথিবীর মোট ৪০ শতাংশ জনসংখ্যার বাস। পৃথিবীর মোট ৩০ শতাংশ জিডিপি এই দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি দেশ, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান ও তাজিকিস্তানকে নিয়ে চীন একটি নতুন জোট গড়েছিল। 

ওই দেশগুলোর সাথে চীনের প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রাথমিকভাবে চীনের লক্ষ্য ছিল মধ্য এশিয়ার ওই নতুন দেশগুলোতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও ইসলামি কট্টরপন্থার প্রসার প্রতিরোধ। 

পরে নিজের শিনজিয়াং প্রদেশের আন্দোলন দমনে মুসলিম প্রধান তিন দেশের আপত্তি এড়ানো এবং ওই অঞ্চলে মজুত প্রাকৃতিক সম্পদও বেইজিংয়ের ‘লক্ষ্য’ হয়ে দাঁড়ায়।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালে শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও ব্যবসাবাণিজ্য বাড়াতে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তান যৌথভাবে ‘সাংহাই ফাইভ’ গড়ে তোলে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে