সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ১২:৪০:০২

পুলিশ ৪৫ দিন পর কেন রাহুলের বাড়িতে

পুলিশ ৪৫ দিন পর কেন রাহুলের বাড়িতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কংগ্রেসের শীর্ষ একাধিক নেতা বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হওয়ার ৪৫ দিন পর  ভারতীয় পুলিশ রবিবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাসভবনে কেন গিয়েছে। গত সপ্তাহে ‘নারীদের এখনও যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে’ এমন মন্তব্যের জন্য তাকে জারি করা নোটিশের জেরে পুলিশ তার বাসভবনে হাজির হয়। 

বিশেষ পুলিশ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) সাগর প্রীত হুদার নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশের একটি দল রাহুল গান্ধীর ১২, তুঘলক লেনের বাসভবনে পৌঁছেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলির বিবেচনায় নিয়ে, পুলিশ ১৬ মার্চ কংগ্রেস নেতার কাছে একটি প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিল এবং তাকে ‘যৌন হয়রানির বিষয়ে তার কাছে আসা মহিলাদের সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিতে’ বলেছিল।

খবর পেয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি ও জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাও রাহুলের বাড়িতে ছুটে যান।

ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় থাকার পর বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুদা নেতৃত্বাধীন পুলিশের দলটি রাহুলের বাড়ি ছাড়ে, এরপর কংগ্রেসের সাবেক সভাপতিকেও একটি গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট বিবেচনায় নিয়ে রাহুল গান্ধীকে একটি প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিল পুলিশ; কংগ্রেস নেতা এখন পর্যন্ত সেসব প্রশ্নের জবাব দেননি। পুলিশ বলছে, ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ মধ্যে শ্রীনগরে রাহুল যৌন নিপীড়ন নিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন।

পুলিশ এখন ওই নারীদের বিস্তারিত জানতে চায়, যেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। ওই নারীদের সম্বন্ধে তথ্য পেতে বিশেষ কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্তা রাহুলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

কংগ্রেসের শীর্ষ একাধিক নেতা বলেছেন, পুলিশের দেওয়া ওই নোটিসের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। দলটি এ নোটিশকে দিল্লি পুলিশের আরেকটি হয়রানি হিসেবেও দেখছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘বিবৃতি হতে পারে, কিন্তু তারা ভিকটিমদের নাম জানতে জোর করতে পারে না।’

ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হওয়ার ৪৫ দিন পর পুলিশ এ বিষয়ে তথ্য চাইছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। সরকার নার্ভাস হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলে, ‘আমরা আইন মেনে প্রতিটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাবো।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে