রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩, ০৫:১৩:৫৭

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাস স্ট্যান্ডের কাছে হঠাৎ দেখা গেল টর্নেডো

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাস স্ট্যান্ডের কাছে হঠাৎ দেখা গেল টর্নেডো

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজ্যে লাগামছাড়া পারদ। দাবদাহে ওষ্ঠাগত বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ পারদের লাফে হাঁসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসীর। রাজ্যের ১৪টিরও বেশি জেলায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা। এর মাঝেই রবিবার দুপুরে টর্নেডোর আতঙ্ক ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায়। স্থানীয় টর্নেডোতে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।

রবিবার দুপুরে তাপপ্রবাহের জেরে শুনশান রাস্তা। আচমকা হলদিয়া সিটি সেন্টার মোড়ের চৌরাস্তায়, বাস স্ট্যান্ডে কাছে হঠাৎ দেখা গেল টর্নেডো। রাস্তার ধুলো ঘূণি ঝড়ের মতো ঘুরপাক খেয়ে উঠছে আকাশে। 

টর্নেডোর মতো ঘূর্ণির টানে রাস্তার জঞ্জাল ধুলো ঘুরপাক খেতে খেতে উঠে যাচ্ছে আকাশে। আশপাশে থাকা স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যদিও দূরে থেকেই নিজেদের মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করতে থাকেন সেই দৃশ্য।

ঠিক কী হয়েছিল?
মনে করা হচ্ছে সাংঘাতিক গরমে তেতে উঠেছে ভূপৃষ্ঠ। তার জেরে মাটির ঠিক উপরের হাওয়া মারাত্মক গরম হয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করতে এই টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। পাক খেতে খেতে উল্লম্বভাবে গরম হাওয়া ওপরে উঠতে থাকে। সেই গরম হাওয়ার সঙ্গে ধুলো জঞ্জালও ঘুরপাক খেতে খেতে উপরে উঠলে ধুলো ঝড় ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় মেসো টর্নেডো বা স্থানীয় টর্নেডো।

দূর থেকে এই ঘূর্ণি দেখে মেঘ বলে মনে হচ্ছিল। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ওই এলাকায় ঘুরতে থাকে টর্নেডো। স্থানীয়দের দাবি, পার্শ্ববর্তী হুগলি নদী থেকেই তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সিটি সেন্টারের বুকে। হলদিয়ায় ওই জায়গায় এদিন একাধিক এমন ঝড় দেখা গিয়েছে বলে খবর। যদিও ক্ষয়ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় এলাকায় তাপমাত্রার ফারাক তৈরি হতেই এমন টর্নেডো তৈরি হতে পারে। তবে এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হলদিয়ায় এই স্থানীয় টর্নেডো বা মেসো টর্নেডো তৈরি হয়। এদিনে মেসো টর্নেডোটির উচ্চতা ছিল ১৫ ফুটের বেশি। প্রায় ১৫-২০ মিনিট সময় স্থায়ী হয়েছিল ঝড়। তথ্যসূত্র : এই সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে