আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ধরা পড়েছে মশাবাহিত প্রণঘাতি জিকা ভাইরাস। ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় এক মানুষের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। বর্তমানে তা ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে এই প্রাণঘাতি ভাইরাস এখন বিশ্বের মধ্যে সব থেকে আলোচি ও আতঙ্কের এক নাম হয়ে উঠেছে। যার দরুণ বিশ্ব নেতাদেরও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা বলছে, ২০১৫ সাল নাগাদ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকার কয়েকটি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন নাগরিকের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এছাড়া এই ভাইরাস ভারত, পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে বাংলাদেশে এর প্রভাব আছে কি না? এ ব্যাপারে কোন খবর পাওয়া যায় নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এর থেকে বাংলাদেশ এখনও মুক্ত রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এ রোগের লক্ষণ, জ্বর, ব়্যাশ (চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি), গোঁড়ালিতে ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া – জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত এ সব লক্ষণ দেখা দেয়। এছাড়া পেশীতে ও মাথায়ও ব্যথা হতে পারে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ ভাইরাসটি এডিস ইজিপ্টি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচার যে উপায়গুলো আছে সেগুলো মেনে চললেই এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে। অন্যথায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
কেন না, এ রোগের চিকিৎসায় এখনও কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে সতর্ক থাকাটাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল।
২৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন