আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আধ ঘণ্টার তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। আর তাতেই লন্ডভন্ড অবস্থা হল কলকাতার। একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে ব্যাহত হল যান চলাচল। দোকানের সাইনবোর্ড ভেঙে পড়ল রাস্তায়। ছিঁড়ে পড়ল ফেল্ক, ওভারহেড তার। ব্যাহত হল ট্রেন এবং বিমান চলাচলও। কেবলমাত্র কলকাতাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল ঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছে সোমবার সন্ধ্যায়। আর তাতে প্রাণহানি হয়েছে একাধিক মানুষের।
কলকাতায় ঝড়ের তাণ্ডব: গত কয়েকদিনের জ্বালাপোড়া গরম থেকে রেহাই পেয়েছে রাজ্যবাসী। আচমকা ঝড়-বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে বঙ্গে। তাপপ্রবাহের হাত থেকেও মিলেছে মুক্তি। কিন্তু, তার মধ্যেই ঝড়ের বলি হলেন মানুষ। ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতিও হল ব্যাপক।
সোমবার বিকেল হতে না হতেই আকাশ কালো করে আসে শহর কলকাতায়। মুহূর্তে শুরু হয় প্রবল বেগে হাওয়া। দোসর ছিল ধুলোর ঝড়। তারপরই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয় মহানগরে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৮৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সাক্ষী থাকে তিলোত্তমাবাসী। একের পর এক গাছ ভেঙে পড়ে শহরের একাধিক রাস্তায় যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। কলকাতায় যানজট আর ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় অফিসফেরত যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হন।
মঙ্গলেও বৃষ্টির পূর্বাভাস: এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, তীব্র গরমের থেকে এবার স্বস্তি মিলতে চলেছে শহরবাসীর। আপাতত পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতার আকাশ মঙ্গলবারও দিনভর আংশিক মেঘলাই থাকবে। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর গরম থেকে মুক্তি মিলবে।
ঘূর্ণিঝড় মোকা সরতেই এ রাজ্যে হু হু করে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে চলতি সপ্তাহে শনিবার পর্যন্ত বঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি।
এদিকে, মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার থেকে শহরে আরও পারদ পতনের ইঙ্গিত রয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৪৫ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়েছে ১৫.২ মিলিমিটার।-এই সময়