শনিবার, ২০ মে, ২০২৩, ০৭:২৪:৪২

৬০০তে ৬০০ নম্বর পেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কাঠমিস্ত্রির মেয়ে নন্দিনী

৬০০তে ৬০০ নম্বর পেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কাঠমিস্ত্রির মেয়ে নন্দিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বংশপরিচয় যে কোনোভাবেই শিক্ষা বা মেধার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সেকথাই আরও একবার নতুন করে প্রমাণ করলেন তামিলনাড়ুর দ্বাদশ শ্রেণির এক পরীক্ষার্থী। 

শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে দ্বাদশ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৬০০ তে ৬০০ পেলেন তামিলনাড়ুর নন্দিনী। ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে রেকর্ড গড়লেন তামিলনাড়ুর নন্দিনী। নন্দিনীর বাবা পেশায় কাঠের মিস্ত্রি।

সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে সেরাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণির ফল। তখনই জানা যায় যে, ডিন্ডিগুল জেলার বাসিন্দা এস নন্দিনী অসাধারণ রেজাল্ট করেছেন। রাজ্যে প্রথম হয়ে নজির গড়েছেন, পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। 

কমার্সের ছাত্রী নন্দিনী ভবিষ্যতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চান। এই রেজাল্টে খুশি নন্দিনী জানিয়েছেন, ‘৬০০- এ ৬০০ পেয়ে আমি খুবই খুশি। আমি এই রেজাল্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা মাকে উ‍ৎসর্গ করতে চাই৷ যদি আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকে, কোনও বাধাই চলার পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারে না৷’

নন্দিনীর এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ। পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনও। নন্দিনীর উচ্চশিক্ষার জন্য তামিলনাড়ু সরকার সব রকম সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। 

জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর বোর্ডের পরীক্ষায় নন্দিনী ৬ টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০-তে ১০০ করে পেয়েছেন। নন্দিনী তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুলের বাসিন্দা। বাবা পেশায় কাঠমিস্ত্রি। অভাবের সংসার, তার মধ্যেও সব প্রতিকূলতাকে জয় করে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন নন্দিনী।

অন্যদিকে, চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এন গায়ত্রীর মা ফলের দোকানে কাজ করেন। বাবা বেসরকারি গ্রন্থাগারের কর্মী। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৯২। দু’টি বিষয়ে ১০০-তে ১০০ এবং বাকি চারটি বিষয়ে ৯৯ করে পেয়েছেন তিনি। ফলঘোষণার পর গায়ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষাই একমাত্র মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে। শিক্ষাই হল অন্যদের বোঝার একমাত্র উপায়।’’

আরও এক সফল পরীক্ষার্থী রয়েছেন, তিনি আবার পিতৃহারা, মা একাহাতে মানুষ করেছেন তাঁকে। মা পেশায় ঝাড়ুদার। পুলিশ অফিসার হতে চান সিঙ্গল মায়ের সন্তান মনীষা। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৪৯৯। মনীষার কথায়, ‘‘আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। এখন পরিস্থিতি খারাপ হলেও আগামী দিনে তা বদলে যাবে। আমাদের শিক্ষা এবং প্রতিভা দিয়ে এই পরিবর্তন আনা সম্ভব।’’

উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় এবার মেয়েদের জয়জয়কার। মার্চ-এপ্রিল মাসে হওয়া দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় মোট ৮,০৩,৩৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। পাশ করেছেন ৭,৫৫,৪৫১ জন। যার মধ্যে ছাত্রীদের পাশের হার সবথেকে বেশি, ৯৬.৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে, ছেলেদের পাসের হার ৯১.৪৫ শতাংশ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে