রবিবার, ২১ মে, ২০২৩, ১০:৩৯:২৬

‘আমি কেন দেশ ছাড়ব?’

‘আমি কেন দেশ ছাড়ব?’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তিনি ‘মাইনাস-ইমরান’ ফর্মুলার জন্য প্রস্তুত আছেন যদি এতে পাকিস্তানের উপকার হয় বা দেশ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচে।

শনিবার এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘মাইনাস ইমরান, কিন্তু আমাকে বলুন এতে দেশের কী উপকার হবে?’ বক্তব্যে ইমরান খান বলেন, গত ৯ মে তাকে গ্রেফতারের পর দেশব্যাপী যে দাঙ্গা শুরু হয় তা একটি সুচিন্তিত ষড়যন্ত্রের আলোকে সংগঠিত হয়। 

ইমরান খান বলেন,  ক্ষমতাসীন জোট জানে যে, সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তারা জিততে পারবে না। এ কারণে তারা দেশের সাবেক ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে।

তার গ্রেফতারের পর দিনব্যাপী সহিংসতার কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তারন সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যখন পিটিআই-এর প্রতিবাদ দেশের অন্য এলাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, তখন কেন পেশোয়ারে রেডিও পাকিস্তান অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হলো।  কে সেই ব্যক্তি যিনি লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস ভাংচুর করতে জনগণকে উসকানি দিলেন, প্রশ্ন রাখেন ইমরান খান।

এ সময় তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন সরকার তার দল পিটিআই ধ্বংস হওয়ার পরই দেশে সাধারণ নির্বাচন করতে চায়। 

এদিকে তাকে বিদেশে পাঠানো হতে পারে  গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, তিনি দেশ ছাড়বেন না। উল্টো তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি কেন দেশ ছাড়ব?’

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান জানান, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, দেশ ছাড়তে আহ্বান জানানো হলে তিনি দেশ ছাড়বেন কি না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই। আমি সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে এখানে (পাকিস্তানে) এসেছি। এটা আমার দেশ।’

ভাষণে ইমরান খান বলেন, সরকার পক্ষ থেকে কেউ বলছে না, বিক্ষোভে ২৫জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং তাদের গুলি করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে কি মানুষের জীবনের কোনো দাম নেই?

ওই সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, যখন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৯ মের বিক্ষোভ সম্পর্কে, আমি তাকে বলেছিলাম, আমি এই ঘটনার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বাইরে আমার সমর্থকদের কোনো কর্মকাণ্ড আমি সমর্থন করি না। সূত্র: জিও

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে