আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০০৬ সালে এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বাসিন্দা জেসন বার্নার্ড কেনিসন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তিনি আর স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেই পারবেন না। সেই মানুষটিই সব বাধা পেরিয়ে ১৭ বছর পর পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া এভারেস্ট জয় করে ফেললেন। তবে ভালো করে উদযাপনের আগেই পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছেন তিনি।
জেসন কেনিসনের পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক বিবৃতিতে পরিবারটি আরো বলেছে, ‘আমাদের চেনা সবচেয়ে সাহসী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী মানুষ ছিলেন জেসন। আমরা তাঁকে সব সময় মিস করব।
একজন গাইড নেপালি গণমাধ্যম হিমালয়ান টাইমসকে বলেছেন, এভারেস্ট থেকে নেমে আসার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন জেসন কেনিসন। তখন সঙ্গী দুজন শেরপা তাঁকে পাহাড়ের ব্যালকনি নামে পরিচিত এলাকায় নেমে আসতে সাহায্য করেন। সেই স্থানটিও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আট হাজার ৪০০ মিটার উঁচুতে।
এশিয়ান ট্রেকিংয়ের প্রধান দাওয়া স্টিভেন শেরপা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, কেনিসনের সিলিন্ডারের অক্সিজেন ফুরিয়ে আসায় ক্যাম্প-৪-এ নামার সিদ্ধান্ত নেন দুই শেরপা।
অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ওপরে ওঠে জেসনকে রক্ষার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। প্রবল বাতাসের কারণে শেরপা দুজন ক্যাম্প ৪-এ পৌঁছাতে পারেননি। এর অল্প সময় পরই পর্বতারোহী কেনিসনের মৃত্যু হয়।
যেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আট হাজার মিটারেরও বেশি উঁচুতে থাকা সেই জায়গাটি পর্বতারোহীদের কাছে মৃত্যু এলাকা নামে পরিচিত। স্পাইনাল কর্ড ইনজুরিস অস্ট্রেলিয়া নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে কেনিসন এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
স্কাই নিউজের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এভারেস্ট অভিযানে এ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হলো। সূত্র : এনডিটিভি