আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের বিভিন্ন নিয়ম-রীতির চল রয়েছে। তা পরম্পরাগত ভাবে বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। আর ভারত তো বৈচিত্র্যে ভরা দেশ।
নানা জাতি, নানা মত– ফলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম-রীতির দেখা মেলে। এমনকী খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস, বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানও আলাদা থাকে। বিহারের সারণ জেলায় এক অভিনব রীতির গল্প শুনে নেওয়া যাক।
এই অভিনব রীতি অবশ্য পরম্পরাগত ভাবে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টা পরিবেশ রক্ষার সঙ্গেও যুক্ত। এমনকী, বলা যায়, এটা একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আসলে এই গ্রামে বিয়ের পর যখন নবদম্পতি গৃহপ্রবেশ করেন, তখন তাদের ফলমূলের গাছ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
সেই গাছ বাড়ির উঠোনে রোপণ করেই বৈবাহিক জীবন শুরু করেন বর-কনে। পরিবেশ রক্ষার এই অনন্য ঐতিহ্য আজও হাসিমুখে পালন করা হচ্ছে। সম্প্রতি ছাপড়া জেলার রিভিলগঞ্জ ব্লকের দিলিয়া রহিমপুর পঞ্চায়েতের রতনপুরা গ্রামে এই রীতির দেখা মিলল।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রবি কুমার নামে এক যুবক সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। নববধূর গৃহপ্রবেশের সময় তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল একটি চারা গাছ। সেই চারা রোপণ করেই নতুন সংসারে প্রবেশ করেছেন রবির নববিবাহিতা স্ত্রী।
এই অভিনব নিয়ম-রীতি প্রসঙ্গে রবি জানান যে, পরবর্তী কালেও যাতে এই ঐতিহ্য বজায় থাকে, তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।
রবির কথায়, “আমাদের গ্রামে বিয়ে করে আসা নবদম্পতিদের হাতে ফলের গাছ তুলে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আসলে বৈবাহিক জীবনের সূচনার প্রতীক হিসেবে বাড়ির উঠোনে ওই চারা গাছ রোপণ করতে হয়। এই ঐতিহ্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে একজোট হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।”
তিনি আরও জানান যে, তাদের পূর্বপুরুষরা এই রীতি গ্রামে শুরু করেছিলেন। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কারণ বৃক্ষ রোপণের ফলে পরিবেশ রক্ষা হবে। গ্রামবাসীরাও বিশুদ্ধ বাতাস পাবেন। আর গাছ থেকে ফলও মিলবে।