আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘড়িতে তখন ঠিক ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিট। আচমকা বিকট শব্দ, তীক্ষ্ণ চিৎকার, তারপরেই আচমকা ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেল ট্রেন…। ঠিক কী ঘটেছিল?
দুর্ঘটনার ১ সেকেন্ড আগে ঠিক কী ঘটেছিল, হাড়হিম করা সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এক যাত্রী। পেশায় ওই ব্যক্তি পেন্টার, কলকাতার বাসিন্দা। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তারা চেন্নাই যাচ্ছিলেন নিজেদের কাজে। কিন্তু তা আর যাওয়া হল না।
আপাতত বাড়ি ফেরার প্রহর গুণছেন। বাড়ির সকলেও অপেক্ষায় রয়েছেন কখন প্রেয় মানুশেরা ঘরে ফিরবেন। ওই যাত্রী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, শুক্রবার হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এস৫-কোচে ছিলেন তিনি।
সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ হয়। দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। তারপরেই শুরু হয় আর্তনাদ, চিৎকার, চেঁচামেচি, হাহাকার। যদিও তিনি যে কামরায় যাচ্ছিলেন সেই কামরায় তেমন তীব্র প্রভাব পড়েনি দুর্ঘটনার। তবে সকলেই কম-বেশি আহত হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই কলকাতার এই শিল্পীরা বাড়িতে জানিয়েছেন তারা সকলেই একেবারে সুস্থ হয়েছেন। এখন কখন বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ২৩৩, আহত প্রায় ১০০০।
তবে উদ্ধারকারীদের অনুমান মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যাও আরও বাড়বে। ট্রেনের দুমড়েমুচড়ে যাওয়া কামরা থেকে একের পর এক দেহ বের করেন নিয়ে আসছেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।