আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজের ইচ্ছায় আগেই বিয়ে করেছিলেন তরুণী। কিন্তু সেই পাত্র তার বাবার পছন্দ হয়নি। তাই জোর করে দ্বিতীয় বার তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় স্বামীর হাতে রাখি বেঁধে পালিয়ে গিয়েছেন ওই তরুণী।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী রাজস্থানের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই স্কুলের এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কলেজের পড়া শেষ করে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুতেই তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি তরুণীর পরিবার।
যুগল বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, তাদের জোর করে আলাদা করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস কন্যাকে বন্দি করে রাখেন তরুণীর বাবা। যুবক ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায় এই সম্পর্কে তার আপত্তি ছিল। ছত্তীসগঢ়ের এক যুবকের সঙ্গে এরপর তিনি কন্যার বিয়ে দেন।
তরুণীর অভিযোগ, জোর করে তাকে দ্বিতীয় বার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর কাছে পুরনো সম্পর্কের কথা তিনি গোপন করেননি। বরং তার হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছেন। রাখিবন্ধন সাধারণত ভাই এবং বোনের সম্পর্কের স্বীকৃতি বহন করে।
দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও তুলেছেন তরুণী। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং প্রথম স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশের সাহায্যও চান। সামাজিক মাধ্যমে নিজের অবস্থা বর্ণনা করে দীর্ঘ পোস্টও করেন তরুণী। যা ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।
এ দিকে, তরুণীর দ্বিতীয় স্বামীর অভিযোগ, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তরুণীর প্রথম বিয়ের কথা বিয়ের আগে তাকে জানানো হয়নি। জানলে জোর করে তিনি বিয়ে করতেন না। তরুণীর উপর অত্যাচারের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভারতের ছত্তীসগঢ় রাজ্যের অন্তগড় থানার অফিসার ইন-চার্জ জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে তারা উদ্ধার করেছেন। আপাতত তাকে ছত্তীসগঢ়ের বাড়িতেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।