আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভুয়া কসমেটিক সার্জারি ক্লিনিকের বিজ্ঞাপন দিয়ে নারীদের ফাঁদে ফেলে চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগের পর ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। মঙ্গলবার তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইরানের বিচারবিভাগ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইন বলছে, ২০২১ সালের শেষের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানে যৌন নিপীড়নের অন্তত এক ডজন মামলায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
হরমোজগানের প্রধান বিচারপতি মোজতবা ঘাহরামানির বরাত দিয়ে মিজান বলছে, প্রদেশের একটি অবৈধ বিউটি সেলুনে কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার সকালের দিকে হরমোজগানের বন্দর আব্বাস কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। তিনি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাত ভুক্তভোগী নারীকে ভুয়া ক্লিনিকে যেতে প্রলুব্ধ করেছিলেন। পরে ইনজেকশনের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে ওই নারীদের ধর্ষণ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য যে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে, তারা পেশায় নার্স। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাঁচটি মামলার পাশাপাশি ওষুধ চুরির অভিযোগও ছিল।
ব্রিটেন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বিশ্বে চীনের পর কেবল ইরানেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বছর ইরানে কমপক্ষে ৫৮২ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়; যা ২০১৫ সালের পর এক বছরে সর্বোচ্চ। সূত্র: এএফপি।