আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাবজি খেলতে খেলতে ভারতীয় যুবককে মন দিয়ে ফেলেছিলেন পাকিস্তানি তরুণী। আর সেই প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে স্বামী ও নিজের দেশ ছেড়ে সোজা চলে এসেছিলেন দিল্লীর নয়ডায়।
সেই তরুণী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জানালেন, “আমার স্বামী একজন হিন্দু। আমিও তাই হিন্দু। এখন আমি ভারতীয়ও।” দেশে আর ফিরতে চান না তিনি। কারণ পাকিস্তানে ফিরলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে।
পাবজি খেলতে খেলতেই মন দেওয়া-নাওয়া হয় দুই প্লেয়ারের। চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে তরুণী সীমা হায়দার পৌঁছে যান গ্রেটার নয়ডায় নিজের প্রেমিক শচীনের কাছে। তবে বেআইনি ভাবে চার সন্তানকে নিয়ে গ্রেটার নয়ডায় থাকার অভিযোগে ওই পাক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। তার চার সন্তান এবং শচীনকেও আটক করা হয়।
নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সীমা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, “যাত্রাটা ছিল দীর্ঘ। আমি খুব ভয়ও পাচ্ছিলাম। প্রথমে করাচি থেকে দুবাই, সেখানে ১১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ঘুমোতে পারিনি। এরপর আমরা নেপালে চলে যাই। এরপর আমার সঙ্গে শচীনের দেখা হয়।”
এবার শচীনের সঙ্গে জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাইছেন সীমা। তার ধারণা ছিল, দীর্ঘদিন বোধহয় থাকতে হবে জেলে। কিন্তু জামিন পাওয়ার পরে নিজেই বিশ্বাস করতে পারেননি। তার কথায়, “খবরটা পেয়ে আমি আনন্দে চিৎকার করতে শুরু করি। আমি তো ভেবেছিলাম জেলেই থাকতে হবে।”