আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এখনো নাকি সংরক্ষিত রয়েছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সোনার দাঁত। এমন সম্ভাবনার কথাই জানালেন লন্ডন-নিবাসী সাংবাদিক আশিস রায়।
নেতাজির শেষ জীবনের ঘটনাপ্রবাহের হাল-হকিকৎ নথিভুক্ত করতে একটি ওয়েবসাইট ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ ডট বোসফাইলস ডট ইনফো (www.bosefiles.info) গঠন করেন আশিসবাবু।
সেখানে বলা হয়েছে, নেতাজির সোনায় মোড়ানো দাঁত হয়তো এখনো জাপানের রাজধানী টোকিও’র রেনকোজি মন্দিরে সংগৃহিত তার দেহাবশেষের মধ্যে রয়েছে।
কেমন করে নেতাজির চিতাভস্মে পৌঁছল সেই দাঁত- এ রহস্যের উদঘাটন করেছিলেন স্বয়ং নেতাজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের অন্যতম সেনানী কর্নেল হাবিবুর রহমান।
আশিসবাবুর দাবি, হাবিবুর নিজের পুত্র নঈমুরকে জানিয়েছিলেন যে, জাপানে সুভাষচন্দ্রের অন্ত্যেষ্টির পর ওই দাঁত তিনি সংগৃহিত চিতাভস্মের পাত্রে রেখে দিয়েছিলেন। সেই পাত্র এখনো ওই মন্দিরে সংরক্ষিত রয়েছে।
আশীসবাবু জানান, হাবিবুর বলেছিলেন, ফার্নেসে নেতাজির নিথর দেহ ঢোকানোর আগে দাঁতটি খুলে রেখেছিলেন এক কর্মী। পরে সেই কর্মী হাবিবুরকে ওই দাঁত দেন।
কয়েকদিন আগে আশীসবাবু নিজের ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছিলেন যে, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইওয়ানের বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন নেতাজি। এরপর সেই রাতেই সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিজের দাবির স্বপক্ষে বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, সাক্ষাৎকার ও প্রমাণ পেশ করেন তিনি। গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সংক্রান্ত নথিকে ‘ডিক্ল্যাসিফাই’ বা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সেখানেও বলা হয়েছে, নেতাজির এই সোনার দাঁতের বিষয়টি আশিসবাবু ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও, বিরোধী দলনেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, জনতা দলের তৎকালীন সভাপতি এস আর বোম্মানি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত বসুকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন।
নিজের ওয়েবসাইটে আশীসবাবু জানিয়েছেন, কর্নেল রহমান ১৯৭৮ সালে মারা যান। তবে তার আগে নিজের কাছে গচ্ছিত থাকা যাবতীয় তথ্য ছেলে নাঈমুরকে দিয়ে যান।
পরবর্তীকালে ১৯৯০ সালে নাঈমুরের সঙ্গে তিনি ইসলামাবাদে দেখা করেন আশিসবাবু। তার থেকেই নেতাজি সংক্রান্ত তথ্য পান তিনি। নিজের ওয়েবসাইটে আশিসবাবু যে তথ্য পেশ করেছেন, সেই অনুযায়ী, নাঈমুর তাকে জানিয়েছেন, নেতাজির মৃত্যুর খবর যে দেশবাসী বিশ্বাস করছেন না, এটা তার বাবা (কর্নেল রহমান) কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি।
নাঈমুরের দাবি, বাবা তাকে জানিয়েছিলেন যে, নেতাজির চিতাভস্ম তাইপেই থেকে টোকিওতে তিনিই পৌঁছে দিয়েছিলেন। অস্থিভস্মের মধ্যে থাকা দাঁত নেতাজির কি না তা স্থির করতে পারে ডিএনএ পরীক্ষা, জানালেন সাংবাদিক আশিস রায়। সূত্র : এবিপি
৩১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম