আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সরকারের গোপন নথি ফাঁসের ঘটনার একটি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) একটি যৌথ তদন্তকারী দল (জেআইটি)। অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের ৫ ধারায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এআরওয়াই নিউজ।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ৫ ধারার অভিযোগ প্রমাণ হলে এই মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড এমনকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে।
এই মামলাটি গত বছরের মার্চের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত, যখন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান একটি চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন, এটি তার সরকারের পতনের জন্য আমেরিকা সমর্থিত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রমাণ। লাহোর হাইকোর্টের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পর গত মাসে তদন্ত সংস্থাটি পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে এ মামলায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
এফআইএর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি গোপন কূটনৈতিক সংকেতলিপি প্রকাশ করার এবং নিজের দখলে রাখার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। সংকেতলিপির অপব্যবহারের অভিযোগে প্রায় তদন্ত গুটিয়ে ফেলেছিল এফআইএ। কিন্তু দিনকয়েক আগে ইমরানের বিরুদ্ধে এই সংকেতলিপি বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয় আমেরিকার একটি সংবাদপত্রে। তার পরেই ফের নতুন করে তদন্ত শুরু হয়।
এআরওয়াই নিউজ একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এফআইএয়ের কাউন্টার টেররিজম উইং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে এই সংক্রান্ত একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং এ মামলায় খানকে অভিযুক্ত করেছে। যৌথ তদন্তকারী দল বা জেআইটি ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেআইটির ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট জেলের অফিসে খানের সঙ্গে দেখা করেছেন।