আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন ও গণহ'ত্যার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে ওই সময় লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়ের আশায় সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তখন তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
সেই গণহ'ত্যার ৬ বছর পূর্তির আগের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। এতে তিনি বলেছেন, ’২৫ আগস্ট, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে, সেটির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে— হত্যার শিকার ও বেঁচে যাওয়াদের— যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকার, জনগণ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের প্রতি আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেই গণহত্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ততের সাহায্যে ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এককভাবে কোনো দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর যারা গণহত্যা চালিয়েছে এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল ২০১৭ সাল থেকেই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।’
বিবৃতির শেষে তিনি বলেছেন, ‘এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বদ্ধপরিকর এবং মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক, সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।’ সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়