আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও বন্যায় দুই হাজার মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পানির স্রোতে পুরো এলাকা সমুদ্রে ভেসে গেছে।
স্থানীয় লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শুধু দেরনা শহরেই দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আরও পাঁচ থেকে ছয় হাজার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে নিরপেক্ষভাবে মৃত্যু ও নিখোঁজের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশকারী সংবাদমাধ্যমগুলো।
লিবিয়ান নিউজ এজেন্সি (এলএএনএ) সংসদ-নিযুক্ত সরকারের প্রধান হামাদকে বরাত দিয়ে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনায় দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। পুরো আবাসিক এলাকা বন্যায় ভেসে গেছে।
সোমবার সকালে লিবিয়ার ত্রিপোলি-ভিত্তিক ঐক্য সরকারের প্রধান আবদুল হামিদ দেইবেহ ঝড় ও বন্যার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাকে ‘দুর্যোগ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
রয়টার্স জানায়, বেনগাজির রেড ক্রিসেন্ট এর আগে দেরনা শহরে ১৫০ থেকে ২৫০ মানুষের মৃত্যুর ধারণা করেছিল।
এলএনএ মুখমাত্র জানান, দেরনায় ভারী বর্ষণের তীব্র চাপে বাঁধ ভেঙে গেছে। এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় বাড়িঘর ও রাস্তা ধ্বংস হয়েছে।
মিসমারি সংবাদ সম্মেলনে জানান, শহরের দক্ষিণে দুটি বাঁধ ধসে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এত তিনটি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রবাহিত পানি আশপাশের সব এলাকা থেকে ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে নিয়ে গেছে।
আল-বায়দা, দেরনা, আল-মারজ, তোবরুক, টেকনিস, আল-বায়দা, বাত্তাহ, আল-জাবাল আল-আখদার এবং পূর্বাঞ্চলীয় সমস্ত শহর ও গ্রাম নজিরবিহীনভাবে প্লাবিত হয়েছে। বেনগাজি পর্যন্ত উপকূলের সব পথ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স, ফ্রান্স২৪