আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এমন সুযোগ কেউ কি হাত ছাড়া করতে চাইবেন। আর সবারই চাইলেও আমি অনন্ত না। তবে এবার এমনই সুযোগ করেদিয়ে এদেশের নাগরিকদের মাসিক আয় নিশ্চিৎ করতে এক নয়া নিয়ম চালু করতে চলেছে সুইজারল্যান্ড সরকার৷ সুইত্জারল্যান্ডে প্রত্যেক বাসিন্দাই একই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করবেন। অর্থাত্, যিনি চাকরি করছেন, তিনিও যা বেতন পাবেন, বেকার ভাতা বাবদও সরকার সেই একই পরিমাণ অর্থ বেকারদের দেবে। এবার থেকে বাড়িতে বসেই সুইডিস নাগরিকরা আয় করবেন ১ হাজার ৭০০ ইউরো করে।
চাকরি না পেলেও বাসিন্দাদের খাওয়া-দাওয়া ও ন্যূনতম জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে এই ব্যবস্তা করছেন। যাতে কোনো সে দেশের নাগরীকদের কোন প্রকার অসুবিধা না হয়, সে কথা ভেবে এই টাকা দেবে সরকারই৷ নয়া নিয়মের প্রচলন হলে সুইজারল্যান্ডই হবে বিশ্বের প্রথম দেশ যার প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক মাসপ্রতি ১৭০০ ইউরো 'ভাতা' হিসেবে পাবেন৷
এই নয়া প্রস্তাব সরকারের কাছে উত্থাপন করেছেন সুইস বুদ্ধিজীবীরা৷ দেশের কোনো বাসিন্দা কর্মরতই হোক বা বেকার ভাতা পাবেন প্রত্যেকে৷ কারণ এই ভাতা 'বেকার ভাতা' নয়, এ হল প্রস্তাবিত মাসিক ভাতা৷ বড়দের ১৭০০ ইউরো ও ছোটদের ১০০ ইউরো করে ভাতা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ নয়া ভাতা-বিধি চালু হয়ে গেলে প্রতি বছর সুইস সরকারের বাড়তি ১৪৩ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে৷
যদিও সুইস বুদ্ধিজীবীদের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধেও মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ আর রাজনৈতিক দলগুলিও তেমন উৎসাহ দেখাচ্ছে না৷ বিরোধীদের বক্তব্য, 'গ্যারেন্টেড ইনকাম স্কিম' চালু হয়ে গেলে বাসিন্দারা আর কর্মক্ষেত্রমুখী হবেন না৷ বিষয়টি আপাতত প্রস্তাব আকারে রয়েছে৷ ভোটাভুটির মাধ্যমে এই প্রস্তাব আইনি চেহারা পাবে কি না, সেদিকেই এখন তাকিয়ে গোটা দুনিয়া!
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই