আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। এর চলার পথে ফিশ প্লেট খুলে রেখেছিল দুর্বত্তরা। রেললাইনের ওপর সাজিয়ে রেখেছিল পাথরের টুকরো, ঢুকানো ছিল লোহার রডও। কিন্তু চালকের সতর্ক দৃষ্টি আর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিপদে পড়ার আগেই থেমে যায় ট্রেনটি। ফলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান যাত্রীরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, সোমবার (২ অক্টোবর) প্রতিদিনের মতোই জয়পুর থেকে উদয়পুর যাচ্ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ রাজস্থানের চিত্রগড়ের কাছে গিয়ে ট্রেনের চালক দেখেন, রেললাইনের ওপর পাথর পড়ে রয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে ইমারজেন্সি ব্রেক চাপেন চালক। তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে হেমি হাইস্পিড ট্রেনটি। এরপর চালক ও কেবিন ক্রুরা নেমে দেখেন রেললাইনের ফিশ প্লেট খোলা। খোলা ছিল লাইনের হুকও। এমনকি ফিশ প্লেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল এক ফুট লম্বা দুটি লোহার রড। চালক তৎপর না হলে এদিন বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তেন ট্রেনটির যাত্রীরা।
ভারতীয় রেলওয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহি কিরণ জানিয়েছেন, রেললাইনের ওপর রড-পাথর দেখে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) এবং সরকারি রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি) জানান ট্রেনের চালক। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তাই, চালক সময়মতো থামাতে না পারলে কী অবস্থা হতো তা অনুমান করে আঁতকে উঠছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতে এর আগে প্রায় একই কায়দায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতা ঘটানো হয়েছিল। লাইনের ফিশ প্লেট খুলে রাখায় ২০১০ সালের ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। এরপর লাইনচ্যুত বগিতে একটি চলন্ত মালগাড়ি ধাক্কা দিলে সেদিন প্রাণ হারান ১৪১ জন যাত্রী। সূত্র: এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন