আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুখ্যাত ডাকাতকে দেবতার আসনে বসিয়ে পূজার উদ্যোগ শুরু হয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে নতুন মন্দির, যেখানে প্রতিষ্ঠা করা হবে মৃত ডাকাত দাদুয়া ওরফে শিবকুমার পটেলের মূর্তি।
সাড়ে আট বছর আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় উত্তরের বীরাপ্পন দুর্ধর্ষ ডাকাত দাদুয়ার। তার স্মৃতিতে এবার ফতেহপুরের অন্তর্গত নরসিংহপুরের কবরাহা গ্রামে নব নির্মীয়মান মন্দিরে অধিষ্ঠিত হতে চলেছে মূর্তি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, মূর্তির প্রতিষ্ঠাতা দাদুয়ার ছেলে তথা সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক বীর কুমার সিং। মূর্তি অধিষ্ঠান উপলক্ষে ১০ দিন সাড়ম্বরে পূজা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দাদুয়ার ভাই বালকুমার পটেলের বক্তব্য, আমার দাদা ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে দরিদ্র মানুষের হয়ে লড়াই করেছিলেন। তিনি ছিলেন গরিবদের উদ্ধারকর্তা ও দেবতা। মূর্তি প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে সপা প্রধান মুলায়ম সিং যাদব, মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এবং শিবলাল যাদবেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো একজন অবশ্যই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
লাগাতার ২০ বছর বুন্দেলখণ্ড থেকে ফতেহপুর পর্যন্ত বিস্তৃত জঙ্গল ও গ্রামাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব চালায় দাদুয়া। ২০০৭ সালে উত্তরপ্রদেশের পাঠা জঙ্গলে এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় এই দস্যু। তার বিরুদ্ধে ১৫০ খুন এবং লুঠতরাজ ও অপহরণের ২৫০ মামলা চলছিল। পুলিশের নথি বলছে, মূলত কেন্দুপাতার ব্যবসায় লাভ করা টাকা দিয়েই ডাকাতদল চালাত দাদুয়া।
জনশ্রুতি আছে, ১৯৯২ সালে ফতেহপুরে একবার পুলিশ বাহিনী দাদুয়া ও তার দলের সদস্যদের ঘিরে ফেলে। সেই সময় এই দস্যু গ্রামবাসীদের প্রতিশ্রুতি দেয়, ছাড়া পেলে গ্রামের মন্দিরগুরোর সংস্কার করবে। বাবার মৃত্যুর পর সেই প্রতিশ্রুতি পালন করার উদ্যোগ নিয়েছেন কার্বি নির্বাচন কেন্দ্রের সপা বিধায়ক বীর কুমার সিং।
উল্লেখ্য, দাদুয়ার ভাই বালকুমার নিজেও দু'বার মির্জাপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তার দাবি, ফতেহপুর দাদুয়ার কর্মভূমি ছিল। কবরাহা গ্রামের মন্দিরে প্রতি বছর বিরাট অনুষ্ঠান পালিন করা হয়। এ বছর সেখানেই দাদুয়া, তার স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৪ ফ্রেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম