আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আটদিন হয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। বিশেষ পাইপের ভিতর দিয়ে তাদের দেওয়া হচ্ছে খাবার ও পানি।
পাঁচটি প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল নিয়ে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ৪১ জন শ্রমিকই ভিতরে বেঁচে আছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।
ভারতে উদ্ধারকারীরা এখন শ্রমিকদের বাঁচাতে নতুন বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছেন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে বিশাল এক পাইপ ঢুকিয়ে তার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল প্রথমে।
তবে এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সুড়ঙ্গ থেকে ফাটলের শব্দ শোনার পর উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ বন্ধ করে দেয়।
এরপর থেকে তাদের নতুন পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।এখন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা দুটি সমান্তরাল সুড়ঙ্গ খোঁড়ার পরিকল্পনা করছেন। যা শ্রমিকদের জন্য বের হওয়ার পথ তৈরি করতে সাহায্য করবে। উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গটি ভূমিধসের কারণে ধসে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১২ নভেম্বর সকালে। এরপরই আটকে পড়াদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। তাদের অক্সিজেন, খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়।
সর্বশেষ উদ্ধার প্রচেষ্টার ব্যাখ্যা করে উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রঞ্জিত সিনহা বলেছেন, ‘বের হওয়ার জন্য মূল সুড়ঙ্গের গায়ে বাইরে থেকে আরো দুটি গর্ত করার কাজ চলছে।’ এখন উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গের মুখ থেকে ভিতরের দিকে খনন করছে।
প্রথমে শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল শ্রমিকদের। সোমবার সকাল থেকে তাদের কাছে ভাত-রুটি-তরকারি পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বেশ কিছু নতুন যন্ত্রও আনা হয়েছে ঘটনাস্থলে। গোটা উদ্ধারকাজটি পরিচালনার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব অনুরাগ জৈনকে।
সংবাদমাধ্যমকে অনুরাগ জানিয়েছেন, পাঁচটি অত্যন্ত পারদর্শী দলকে নিয়ে নতুন করে উদ্ধারকাজের নকশা তৈরি করেছেন তিনি। সুড়ঙ্গের সব দিক থেকে ড্রিলের কাজ শুরু হবে।
উদ্ধারকাজে অয়েল অ্যান্ড নেচার গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি), সাতলুজ জলবিদ্যুৎ নিগম, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং তেহরি হাইড্রো ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এই পাঁচটি উদ্ধারকারী দল কাজ করছে।
বর্ডার রোড কর্পোরেশন এবং সেনা বাহিনীও এই দলগুলোর সঙ্গে অংশ নিয়েছে। ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের দলও রাখা হয়েছে। এদিকে আটকে পড়াদের পরিবার শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ করেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিবারগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের বাঁচাতে উদ্ধারকারীরা নির্বিঘ্নে কাজ করছে। অসহায় শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখা উচিত। সূত্র: বিবিসি