আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর তিন মাস পার হলেও, সংসদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে মার্চের মাঝামাঝির আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হচ্ছে না। কেন তা হবে না – সেটা বলা হয়নি, তবে সংবাদদাতারা বলছেন, এই ঘোষণার পর জল্পনা বাড়বে যে অং সান সু চিকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগের চেষ্টা চলছে কিনা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুসারে মিস সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, কারণ তার দুই ছেলে বিদেশী পাসপোর্টের অধিকারী। মিয়ানমারের সংসদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাজটি করা হবে ১৭ই মার্চ।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং মিস সু চির মধ্যে কোন সমঝোতা হয়েছে কি না, কিংবা তিনি এখনই তার শক্তি দেখাতে শুরু করেছেন কিনা এই প্রশ্নই এখন সবার মনে।
যদি সত্যি সত্যি কোন সমঝোতা হয়, তবে তা হবে একটি বিপজ্জনক খেলা।
সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, দেখে মনে হয় মিস সু চির বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে, তার দলের এমপিদের দিয়ে সংবিধানের সেই অনুচ্ছেদগুলো আপাতত স্থগিত করে দেয়া যার কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না।
এ ধরনের কোন পদক্ষেপের বিধান মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধানে নেই। এবং এটি শেষ পর্যন্ত করা হলেও তা অবৈধ এবং সংবিধান-বিরোধী বলে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই