সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:০৬:১৭

২৩ বান্ধবীকে কাঁদিয়ে এনকাউন্টারে গ্যাংস্টার

২৩ বান্ধবীকে কাঁদিয়ে এনকাউন্টারে গ্যাংস্টার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অন্ধকার জগতে পা বাড়ালে যা হয় তা-ই হলো।  রোববার আচম্বিতে সেই অন্ধকারই নেমে এল ২৩ মেয়ের জীবনে।  পুলিশের একটি গুলিতেই শেষ।  যারা নিজেরা অন্ধকার জগতের না হলেও তাদের বয়ফ্রেন্ডটি ছিলেন অন্ধকার জগতের কুখ্যাত ব্যক্তি।

সন্দীপ গাঢ়োলি।  দিল্লি-গুরগাঁও ছিল যার বিচরণ ক্ষেত্র।  দিল্লি পুলিশ আগেই তার মাথার দর দিয়েছিল ১.২৫ লাখ টাকা।  রোববার মুম্বাইয়ের এক হোটেলে গুরগাঁও পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায় এই গ্যাংস্টার।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে ফেরারি থাকা সন্দীপকে ধরতে তার প্রেমিকাদের ফোনেই ক্রমাগত আড়ি পাতছিল পুলিশ।  গ্যাংস্টারের ডায়েরি ঘেঁটেই ২৩ বান্ধবীর সন্ধান মেলে।  পাওয়া যায় তাদের ফোন নম্বর।  সেই সব ফোনে নিয়মিত আড়ি পেতে সন্দীপের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গুরগাঁও থেকে মুম্বাই পৌঁছে পুলিশের বিশেষ একটি টিম।

গুরগাঁও পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ওই পুলিশ টিমটি রোববার ভোররাতে পূর্ব আন্ধ্রেরির এয়ারপোর্ট মেট্রো হোটেলে হানা দেয়।  সেখানেই দলবল নিয়ে উঠেছিল ওই গ্যাংস্টার।

পুলিশ জানায়, তাদের উপস্থিতি টেরে পেয়েই,সন্দীপ গঢ়োলির লোকজন আক্রমণ করে।  পুলিশও পালটা গুলি চালায়।  সেই এনকাউন্টারের সময়ই পুলিশের গুলিতে মারা যায় গুরগাঁওয়ের গ্যাংস্টার।

মুম্বাইয়ের সিনিয়র এক পুলিশ অফিসার জানান, সন্দীপ গাঢ়োলির শরীরে বুলেটর ক্ষত ছিল।  তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যায়। এনকাউন্টারে দুজন পুলিশও ঘায়েল হয়েছেন।


পুলিশ জানায়, বছর তেত্রিশের সন্দীপ গাঢ়োয়াল ১৯৯৯ সাল থেকেই অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল।  হত্যা, লুটপাট, রঙবাজি, অপরহণসহ শুধু গুরগাঁওয়েই ৩৬টির ওপর মামলা ঝুলিছল তার নামে।  

এর মধ্যে একটি মামালায় জেলা আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দিয়েছিল।  সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরারি হয়ে যায়।
৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে