আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টাইটানিকের মত আরো একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছেল। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পেল এ সময়ের টাইটানিক খ্যাত ‘অ্যানথেম অব দ্য সি’। এটি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও তৃতীয় বৃহত্তম এই প্রমোদ তরী। যা ২০১৫ সালে চালু করা হয়। তবে এই প্রথমবার সেটি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখী হয়েছে।
গত রবিবার রাত ৩টার দিকে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কাছে ভ্রমণের সময় ঝড়ের কারণে ৪০ ফুট উচ্চতার এক জলচ্ছাসের সম্মুখীন হয় রয়্যাল ক্যারিবীয়ান অ্যানথেম অব দ্য সি জাহাজটি। জাহাজে তখন অবস্থান করছিলেন ৪,৫২৯ জন যাত্রী। ঝড়ের কারণে জাহাজটিতে থাকা যাত্রীরা সবাই ভীত হয়ে পড়েন। জাহাজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কেবিনে থাকার নির্দেশনা দেন। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
অ্যানথেম অব দ্য সি’র ডেকে অবস্থান করা ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলেন, পূর্ব সতর্কতা সত্যেও ১৫০ মাইল বেগের বাতাস ও ৪০ ফুট উচ্চতার জলচ্ছাসের মধ্যে দিয়েই জাহাজ চালানো হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, ঝড়ের কারণে জাহাজের অনেক ফার্নিচার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে, গাছের টব গুলো দুমড়ে মূচড়ে গেছে।
অ্যানথেম অব দ্য সি গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের কেপ লিবার্টি বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণে এটির গন্তব্য ছিল বাহামা দ্বীপপুঞ্জ।
ভীত যাত্রীরা তাদের এই অভিজ্ঞতা সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন। সারাহ স্ট্রান্ড নামের এক যাত্রী বলেন, তিনি এর আগে ২০ বার প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু এবারই প্রথম এমন ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হলেন।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘এটা বলতে দ্বিধা নেই যে- এটা আমার জীবনে ঘটা সবচেয়ে ভয়ংকর একটি ঘটনা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলা ঝড় ও বাতাসে জাহাজ দুলতে থাকে, যার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, শিশু সন্তানসহ আমি কেবিন থেকে বের হতেও পারছিলাম না।’
এদিকে রয়্যাল ক্যারিবীয়ান যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছে, সামুদ্রিক এই ঝড় তাদের জাহাজের ওপর বড় বিপদের কারণ হতে পারেনি। এবং এই ভ্রমণে শরিক যাত্রীরা জাহাজের পরবর্তী ভ্রমণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
এর আগে ১৯১২ সালে ব্রিটিশ প্রমোদ তরী টাইটানিক সাউথাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে আটলান্টিক মহাসাগরে এক বরফখন্ডের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে গেলে ১৫০০ যাত্রী নিহত হন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস