আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে ১৬তম জাতীয় নির্বাচনের ফল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সংসদ গঠনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছে আটক ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। আর এতেই দেশটির নীতিনির্ধারকদের সমীকরণ ওলটপালট হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় সব পক্ষকে বিনয়ের সঙ্গে গণরায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
তিনি দেশটিতে গণতান্ত্রিক ধারার চর্চাকে গুরুত্ব দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ বার্তা দেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে, বলেন মালালা ইউসুফজাই। একইসঙ্গে নির্বাচিত ব্যক্তিদের ভোটারদের সিদ্ধান্তকে বিনয়ের সঙ্গে মেনে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে ২৬ বছর বয়সে ওই নারী সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পান মালালা। মালালা ইউসুফজাই বলেন, পাকিস্তানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে, যার মধ্যে ভোট গণনায় স্বচ্ছতা এবং ফলাফলের প্রতি সম্মানও থাকা চাই।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন বেসরকারিভাবে ১০২টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১৩৩ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দলটি। এ জন্য পিটিআইয়ের আর মাত্র ৩১টি আসন দরকার।
পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের থেকে ২৯টি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। দলটি পেয়েছে ৭৩টি আসন। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা তির প্রতীক নিয়ে ৫৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন।