আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। মূলত ভারী বর্ষণের জেরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
হতাহতের বেশিরভাগই বাড়ির ছাদ ধসে পড়ার কারণে ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। মূলত ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে।
বিভাগের মুখপাত্র জনান সায়েক রোববার বলেন, ‘গত শুক্রবার থেকে বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে প্রচুর মানবিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, বন্যায় দুর্ভাগ্যবশত ৩৩ জন শহীদ হয়েছেন এবং আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন।’
মুখপাত্র জনান সায়েক আরও বলেছেন, বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ছাদ ধসে, প্রায় ৬০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়াও, ২০০টি গবাদি পশু মারা গেছে, প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় ৮০০ হেক্টর (১৯৭৫ একর) কৃষি জমি ‘বন্যায় ভেসে গেছে’।
আল জাজিরা বলছে, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২০টি প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। অবশ্য এই প্রদেশগুলোতে গত শীত মৌসুম ছিল অস্বাভাবিকভাবে শুষ্ক। এর ফলে সেসময় ভূখণ্ড শুকিয়ে গিয়েছিল এবং কৃষকরা তাদের শস্য রোপণ বিলম্বিত করতে বাধ্য হয়েছিল।
সর্বশেষ বৃষ্টি ও বন্যায় অন্য প্রদেশগুলোর মধ্যে পশ্চিম ফারাহ, হেরাত, দক্ষিণ জাবুল এবং কান্দাহার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সায়েক জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, আফগানিস্তানের বেশিরভাগ প্রদেশে আগামী দিনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।