আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথম জাপানি সংসদ সদস্য হিসেবে ‘পিতৃত্বকালীন ছুটি’র আবেদন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) কেনসুকে মিয়াজাকি। তবে সন্তান জন্ম হওয়ার আগেই জড়িয়ে পড়েন পরকীয়া সম্পর্কে।
এ খবর মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
এ খবর জানিয়েছে বিবিসি ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, গত মাসে পিতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেছিলেন কেনসুকে মিয়াজাকি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তার সন্তান জন্ম হওয়ার কথা ছিল। এ সময়ে স্ত্রী ও সন্তানকে সময় দেয়ার দাবি করে তিনি আবেদন করেন ছুটির জন্য।
জাপানে সন্তানদের দেখভাল'র জন্য পুরুষদের ছুটি নেয়ার রেওয়াজ তেমন নেই। সে কারণেই তার সহকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে তার নতুন এ ধারণা সমর্থন করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।
৫ ফেব্রুয়ারি মিয়াজাকির স্ত্রী মেগুমি কানেকো, যিনি নিজেও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন রাজনীতিবিদ। জাপানের ট্যাবলয়েড শুকান বুনশান মিয়াজাকির পরকী প্রেমের কাহিনী ফাঁস করে দেয়।
ট্যাবলয়েডটিতে ছাপানো এক ছবিতে মিয়াজাকিকে দেখা যায় অন্য এক নারীর সঙ্গে। এই নারী বিকিনি মডেল ও প্রফেশনাল কিমানো পোশাকের ডিজাইনার।
ট্যাবলয়েডটি বলছে, মিয়াজাকির সন্তান জন্মগ্রহণের মাত্র কয়েকদিন আগে তোলা হয়েছে এ ছবি। একদিকে পিতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন, অন্যদিকে পরকীয়া- দুই মিলিয়ে তীব্র সমালোচনায় মুখে পড়েন মিয়াজাকি।
সে কারণেই গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তার পরকীয়ার খবর মিডিয়াতে হৈ চৈ ফেলে দেয়ায় ক্ষমাও প্রার্থনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পরকীয়ার খবর স্বীকার করে নেনমিয়াজাকি। তিনি জানান, জানুয়ারিতে জাপানের সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে মিয়াজাকি ও অন্য সংসদ সদস্যদের পোশাকের দায়িত্বে ছিলেন ওই মডেল।
তাদের মধ্যে সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেন মিয়াজাকি। তবে বর্তমানে তাদের মধ্যে আর যোগাযোগ নেই বলেও জানান তিনি। মিয়াজাকি পরকীয়ার সম্পর্ককে তার স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি চরম অবিচার বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
মিয়াজাকি বলেন, আমি আমার স্ত্রীর কাছে সবকিছু খুলে বলেছি। তার প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণের জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আমি আবেদন করেছি, যা আমার খামখেয়ালি আচরণের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। সে কারণে আমি আমার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম