বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪, ০২:৫৬:২৭

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু: দেহরক্ষীকে নিয়ে রহস্যের জন্ম

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু: দেহরক্ষীকে নিয়ে রহস্যের জন্ম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে আজ ১১ দিন। কিন্তু তার মৃত্যু এখনো রহস্যের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। তেমনি এ ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির এক দেহরক্ষীকে নিয়েও রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এ ছাড়া কীভাবে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল সে বিষয়েও সুস্পষ্ট কোন তথ্য জানাতে পারেনি ইরান।

যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলে দেশটির সেনাবাহিনী এর আগে বলেছিল, এখন পর্যন্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা নাশকতার কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা।  গত  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। 

এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তক গণমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে রাইসির দেহরক্ষীকে নিয়ে এ খরব প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা গেছে, তার দেহরক্ষী প্রায় সবসময় তার সঙ্গেই ছিলেন।

তবে নিহতদের তালিকা থেকে জানা গেছে, তিনি সেদিন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারে ছিলেন না।
বেল ২১২ হেলিকপ্টার ১৫ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে কিন্তু সেদিন ওই হেলিকপ্টারে মাত্র ৮ জন যাত্রী ছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন ইব্রাহিম রাইসির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী অন্য হেলিকপ্টারে উঠেছিলেন সেদিন?

ইরানের প্রেসিডেন্টের ওই দেহরক্ষীর নাম জাভেদ মেহরাবি। তিনি সেদির বহরে থাকে বাকি দুটি হেলিকপ্টারের একটিতে ভ্রমন করেছিলেন।

তবে সাবেক আইআরজিসি কমান্ডার এবং বর্তমান সংসদ সদস্য জেনারেল ইসমায়েল কোসারি রাষ্ট্রপতির রক্ষীদের সম্পর্কে এ দাবিগুলো খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ‘কিছু মিডিয়া অপ্রাসঙ্গিক বিবৃতি তৈরি করছে।’ তিনি আরো বলেন, রাইসির দ্বিতীয় দেহরক্ষী অন্য হেলিকপ্টারে ছিল, কারণ একটি হেলিকপ্টারে একাধিক দেহরক্ষীর প্রয়োজন ছিল না।’

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী ‘ইসলামিক রিপাকলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং’-এর প্রতিবেদনে গত ২৬শে মে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার আগে হেলিকপ্টারটি অবতরণের পর জাভেদ মেহরাবিকে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার থেকে নামতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে ইরানের হামমিহান পত্রিকা বলছে, ফ্লাইটি ফিরে আসার মুহূর্তে কিছু যাত্রীকে অন্য হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

গত রবিবার ( ১৯মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে