রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪, ১০:১১:২৬

আরবের জন্য বিশাল এক খবর!

আরবের জন্য বিশাল এক খবর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরবদের সঙ্গে উটের গভীর বন্ধন হাজার বছরের। আরব সমাজে উটের রয়েছে অনন্য মর্যাদা, সেই সঙ্গে সৌদি আরবের সমাজ ও সংস্কৃতিতেও। 

হাজার বছর ধরে আরব উপদ্বীপে মরুর বুকে জীবন-জীবিকার মূল ভিত্তি এই প্রাণীটি। তপ্ত মরুতে নির্ভরযোগ্য বোঝা বহনকারী পশু হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে উটের। একই সঙ্গে সম্পদ, উদারতা এবং ভ্রমণের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এই উট।

ঐতিহাসিক সময়কাল থেকেই উট এই অঞ্চলের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই গভীর সংযোগের মধ্যে সেখানে 'আলহেদা' নামক একটি নান্দনিক লোকশিল্পের জন্ম হয়েছে। 

এই শিল্পটি আরব সমাজে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে। আলহেদা'আ একটি মৌখিক ঐতিহ্য যেখানে পশুপালক বা রাখালরা তাদের উটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিশেষ শব্দ, অঙ্গভঙ্গি এবং কখনও কখনও বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেন।

এক্ষেত্রে উট বুঝতে পারে এমন একটি শব্দভাণ্ডার তৈরি করেছেন পশুপালকরা। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন কবিতা ও ছন্দে অনুপ্রাণিত হয়ে ছন্দময় অভিব্যক্তি তৈরি করেছেন রাখালরা। 

পশুপালকরা ছন্দময়ী অভিব্যক্তি আলহেদা'আ ব্যবহার করে মরুভূমির ভেতর দিয়ে উটদের পথ দেখান, চারণভূমির সন্ধানের সময়। সেই সঙ্গে তাদের পানি খাওয়ানো, দুধ দোহানো এবং তাদের পিঠে চড়ার সময় ভিন্ন ভিন্ন শব্দ উচ্চারণ করেন রাখালরা।

আলহেদা'আ একক সুর মেনে চলে না। এটি পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হয়। এসব মর্মস্পর্শী শব্দ উটকে গভীরভাবে আন্দোলিত করে। অনেকগুলো শব্দ আলহেদায় যুক্ত হয় পশুপালকদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ থেকে। 

জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর 'মানবতার জন্যে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য' (রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি)-নামের বিশেষ স্বীকৃত পেয়েছে। সূত্র :  গালফ নিউজ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে