আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভালোবাসা দিবসকে স্মরণিয় করে রাখতে আয়োজন করা হয়েছিল ব্যতিক্রম বিয়ের অনুষ্ঠানে। সে আয়োজনে ভালোবাসার দিনে দেড়শো ছেলে মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের এই বিবাহ আসরে নিজ নিজ ধর্মের রীতি মেনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। তৃণমূল কাউন্সিলার গৌতম হালদারের উদ্যোগে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে উত্তর কলকাতার টালা পার্কে আয়োজন করা হয় এ গণবিবাহের। যদিও পঞ্জিকায় এদিন কোনও বিয়ের লগ্ন ছিল না, তবুও ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভ্যালেটাইনস ডে বলেই গণবিবাহের আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা।
এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা গৌতম হালদার জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী ‘আলোয় ফেরা’ এই গণবিবাহের আয়োজন করছে। আমরা সহিষ্ণুতার বার্তা দিতেই সব ধর্মের ছেলে-মেয়েদের এখানে বিয়ের আয়োজন করি। এখন পর্যন্ত আমরা সাড়ে সাতশো ছেলে-মেয়েকে সাত পাকে বেঁধে ফেলতে পেরেছি।
তিনি জানিয়েছেন, এই কম সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক বিয়ে দিয়ে তাদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে জায়গা পেতে চলেছে।
এদিকে এই গণবিবাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের প্রশ্ন, গনবিবাহে সামিল হওয়া ছেলে-মেয়েদের বয়সের সঠিক প্রমানপত্র খুঁটিয়ে দেখে কি বিয়ে দিচ্ছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কারণ তাদের মনে হয়েছে, এই বিবাহ অনুষ্ঠআনে সামিল হওয়া অনেক ছেলে মেয়েই বিয়ের উপযুক্ত নয়।
অনেকের প্রশ্ন, গিনেস বুকে নাম তুলতেই কি তড়িঘড়ি শ’য়ে শ’য়ে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন এরা? আয়োজকরা অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের এই প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পুরীর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জগন্নাথ দৌত্যপতি, মন্ত্রী সাধন পান্ডে, সাংসদ সুলতান আহমেদ, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট জন।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন