আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মুম্বাই, পুনে, পালঘরসহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। এ রাজ্যে মৃত সাত। মুম্বাইতে শুক্রবারও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। পুনে পানির তলায় চলে গেছে। মুম্বাইয়ের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জন্য মুম্বাই বিমানবন্দর দুই দফায় আধঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ১১টি বিমান বাতিল করা হয়।
পশ্চিম মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন এবং বিদর্ভে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। থানে, পালঘর, কল্যাণ, কোলাপুর, পুনে, রায়গড়-সহ অনেক শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রায়গড়, সাতারা এবং রত্নাগিরি জেলার জন্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের জন্যও রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবারও মুম্বইতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মানুষ যেন খুব জরুরি দরকার না হলে বাড়ির বাইরে না যান।
মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। রাতে তিনি দেবেন্দ্র ফড়নবিস ও অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বন্যা পরস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ঠিক হয়েছে, কিছু জায়গায় সেনা ও নৌ বাহিনীর সাহায্যে বন্যাক্রান্ত মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে।
মেরিন ড্রাইভে এই বিশাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখতে গিয়েছিলেন কিছু মানুষ। মেরিন ড্রাইভে এই বিশাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখতে গিয়েছিলেন কিছু মানুষ।
পুনেতেই মারা গেছেন ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন মারা গিয়েছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু জায়গায় সেনাও নামানো হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু থেকে বুক সমান জল জমে গেছে। পুনে থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের শহর লাভাসাতে ধস নেমেছে।
রাজ্যের অন্তত পাঁচটি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় অনেক জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে বন্যার আশঙ্কা বেড়েছে। (পিটিআই, এএনআই)