আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শতাব্দীর পর শতাব্দী গত হয়েছে। কিন্তু আজো প্রাচীন সেই মমির গোপন রহস্য জানতে পরেনি মানুষ। হওয়া খুব একটা সহজও নয়। ওই সৌধের ভিতরে কি লুকিয়ে আছে? এর উত্তর পাওয়া যাবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। তাতে কিছু গোপন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
যে শিল্পীরা সযত্নে রচনা করেছিলেন পিরামিড এবং তার অভ্যন্তরের খুঁটিনাটি, তাঁদের উপর নির্দেশ ছিল গোপনীয়তা রক্ষার। সেই গোপনীয়তাই তো আড়ম্বড়ের পাশাপাশি একমাত্র সম্বল, যা আজও বিস্ময়-বিমুগ্ধ করে রাখে টেক-স্যাভি মানুষকেও!
অবশ্য, কিছু কিছু রহস্য উদ্ধার হয়েছে বটে। বিশেষ করে, মমি এবং তার সমাধি গর্ভে লুকিয়ে থাকা চিত্রশিল্পের কারিকুরি।
নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক ওয়েলটন জানান, টেবতুনিস পিরামিড এবং তার ১৫টি মমি-চিত্র সমীক্ষা করে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি আমরা। সেই তথ্য নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়ার মতো। ঠিক কী কী তথ্য পেয়েছেন সমীক্ষক দলের সদস্যরা?
জানা গেছে, যে সব ছবি পিরামিডের দেওয়ালে এঁকে রাখতেন শিল্পীরা, তার রং অনেকটাই তাঁরা আমদানি করতেন বাইরে থেকে। যেমন, মরচে লাল রং আসত গ্রিসের কেওস থেকে। লাল রঙের জোগান দিত স্পেন। আবার, যে কাষ্ঠফলকে ছবি আঁকা হত, তা নিয়ে আসা হত মধ্য ইউরোপ থেকে। এই তথ্য সব মিলিয়ে তাই সেই সময়ের মিশরের বাণিজ্যের স্বর্ণযুগের দিকেই ইঙ্গিত করে।
আরও বিস্ময়ের ব্যাপার, শুধু মাত্র মিশরীয় শিল্পীরাই এই ছবিগুলো আঁকতেন না! তাঁদের সঙ্গে সমান তালে হাত মেলাতেন রোমের শিল্পীরাও! সেই সময়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের এই সহিষ্ণুতার নজির মুগ্ধ করার মতোই!
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস