আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : কমিউনিস্ট শাসিত উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উনকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। কি সেই সতর্ক বার্তা, যা নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে?
সংস্থাটির মানবাধিকার পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশেষ দূত মারজুকি দারুসমান বলেছেন, দাপ্তরিকভাবে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এ সংক্রান্ত ১৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। তা সোমবার সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
কিম এবং তার কর্মকর্তারা তাদের শাসনামলে মানবতা বিরোধী কোন অপরাধ করলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী যেকোন অপরাধে যদি অধ্বস্তনরা জড়িত থাকলে, সেনাবাহিনীর কমান্ডার এবং বেসামরিক উর্ধ্বতনরা তাদের কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণে অবহেলার জন্য এবং অপরাধ দমনে অপারগতার জন্য দায়ী থাকবেন।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। দু’বছর আগে দেশটিতে মানবাধিকার রেকর্ড সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুসন্ধান শেষ করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি তেমনই আছে। এর কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
জাতিসংঘ পরিষদের একটি অনুসন্ধানের কাজে উত্তর কোরিয়ায় ছিলেন দারুসমান। ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, কঠোর ব্যবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক কারাগারে চরম অমানবিকতার শিকার হচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কমিশনটি নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন মানবাধিকার রেকর্ড অনুযায়ী উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় আনা হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস