আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আধুনিক প্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ক্যামেরা এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেলফোনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি ক্যামেরার গুণগত মানও বাড়ছে।
ভালো রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাজারে থাকা বিভিন্ন মডেলের মধ্যে ভালো রেজল্যুশনের ক্যামেরাযুক্ত ডিভাইস বের করা বেশ কঠিন। গিজচায়নার প্রতিবেদনে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যা সহজে ডিভাইস পছন্দে সহায়তা করবে।
স্মার্টফোন
ছবি তোলার চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তা যাচাই: ভালো ক্যামেরার ডিভাইস কেনার আগে ব্যবহারকারী হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয়তা বা চাহিদা যাচাই করতে হবে। দিনে এক-দুটি ছবি তুললেই হবে নাকি পেশাদার পর্যায়ে ছবি তোলা হবে তা ভাবতে হবে।
ক্যামেরার পিক্সেল :
পিক্সেল বেশি হলেই যে ক্যামেরা ভালো হবে তা নয়। তবে ছবির রেজল্যুশনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। পিক্সেল বেশি থাকলে তা আকারে বড় ও বেশি ডিটেইলের ছবি ধারণ করতে পারবে।
সেন্সরের আকার :
শুধু পিক্সেলের ওপর নির্ভর করলেই হবে না। স্মার্টফোনে থাকা ক্যামেরা সেন্সরও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেন্সর যতটুকু হবে এর মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশের হারও তত বেশি হবে। কম আলোয় ছবি তোলার জন্য সেন্সর সাইজ ভূমিকা পালন করে। বড় সেন্সর কম আলোয় ভালো ছবি তুলতে সহায়তা করে।
অ্যাপারচার ও লো-লাইট পারফরম্যান্স :
অ্যাপারচারের মাধ্যমেও ক্যামেরা ল্যান্সে কী পরিমাণ আলো প্রবেশ করবে তা নির্ধারিত হয়। অ্যাপারচার যত কম আলো তত বেশি এবং ছবির মানও তত ভালো হবে।
ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন :
অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ওআইএস) বা ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ইআইএম) ছবি বা ভিডিও ধারণের সময় সব ধরনে ঝাঁকুনি কমাতে সহায়তা করে। ওআইএস সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে। তাই এ বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হবে।
ক্যামেরার মোড ও ফিচার :
আধুনিক স্মার্টফোনগুলোয় থাকা ক্যামেরায় বিভিন্ন মোড ও ফিচার থাকে, যা বিভিন্ন সময় ছবি তোলার জন্য সহায়তা করে। এর মধ্যে পোর্ট্রেইট, নাইট মোড, প্রো, ম্যাক্রো এগুলো রয়েছে। এছাড়া এআইনির্ভর বিভিন্ন ফিচারও ব্যবহারকারীকে সহায়তা করে।
ভিডিও ধারণের সক্ষমতা :
স্মার্টফোনের মাধ্যমে যদি প্রতিনিয়ত ভিডিও ধারণে ইচ্ছা থাকে তাহলে এ দিকটিও দেখতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানির ডিভাইসে ভিডিও ধারণের জন্য বিভিন্ন ফিচার থাকে। এর মধ্যে ফোরকে, স্লো-মোশন, সিনেম্যাটিক স্ট্যাবিলাইজেশন উল্লেখযোগ্য।
সফটওয়্যার ও প্রসেসিং সক্ষমতা :
সেলফোনের ক্যামেরায় ব্যবহৃত হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি সফটওয়্যারও জরুরি। ছবি বা ভিডিও ধারণের পর এর ফাইনাল আউটপুট পাওয়ার আগে পর্যন্ত সফটওয়্যারের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ। ব্র্যান্ডের নিজস্ব ইমেজিং সফটওয়্যার ছবির রেজল্যুশন ধরে রাখার পাশাপাশি কালারেও উন্নতি করে থাকে। এদিক থেকে গুগলের পিক্সেল ও আইফোন অন্যতম উদাহরণ। মেগাপিক্সেল বেশি না হলেও সফটওয়্যারের কারণে ছবির মান ভালো থাকে।
রিভিউ ও ব্র্যান্ড ভ্যালু :
যেকোনো ব্র্যান্ডের সেলফোনই যে ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স দেবে তা সঠিক নয়। তাই ডিভাইস কেনার আগে সেগুলো সম্পর্কে ইউজার রিভিউ ও ব্র্যান্ড ভ্যালু যাচাই করে নেয়া উচিত। কোম্পানি ভেদে ক্যামেরার প্রযুক্তিতেও পরিবর্তন থাকে। তাই সব যাচাই করে সেলফোন কিনতে হবে।
পরীক্ষণ ও মূল্য যাচাই :
সেলফোন কেনার আগে সম্ভব হলে শো-রুমে গিয়ে সেলফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি যাচাই করে নেয়া ভালো। এসবের সঙ্গে বাজেটও অন্যতম বিষয়। বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেবে এমন ডিভাইস নির্বাচন করাও অন্যতম একটি কাজ।