আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাঞ্জাবের লাহোরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘আইনশৃঙ্খলা বজায়’ রাখতে গুলি করারও নির্দেশ দিয়েছে প্রাদেশিক সরকার।
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি কমানো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শনিবার (৫ অক্টোবর) বিক্ষোভ সমাবেশ করছে পিটিআই।
বিক্ষোভ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে পিটিআই কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগ প্রদেশে ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানে সেনা মোতায়েনের আদেশ জারি করেছেন।
শনিবার জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর জন্য রুলস অফ এনগেজমেন্ট (আরওই) নির্ধারণ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি আসন্ন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়া বিদেশি প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দিতে বিমানবন্দরের আশেপাশে সশস্ত্র বাহিনী, বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
আরও এর অধীনে সশস্ত্র বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারসহ পরিস্থিতি অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। ডন জানিয়েছে, গত শুক্রবারের মতো শনিবারও ইসলামাবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিতেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ সমাবেশ ভণ্ডুল করতে রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিণ্ডি শহরে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয় ব্যাপক ধরপাকড়।