আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে সরে গেল সৌদি আরব। বোল পাল্টে এখন অন্য কথা বলছে দেশটির রাজতন্ত্রিক সরকার। ধরণা করা হচ্ছে, বিশ্ববাজারে ইরানের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ঠেকাতে এবং নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সিদ্ধান্ত বদলিয়েছে রিয়াদ।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, যদি অন্য উৎপাদনকারী দেশ তেল উত্তোলন কমাতে চায় কিংবা বাড়তি তেল উত্তোলন বন্ধ করে তাহলে তার প্রভাব বাজারে পড়তে পারে। কিন্তু সৌদি আরব তেল উত্তোলন কমানোর বিষয়ে মোটেই প্রস্তুত নয়।
গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় সৌদি আরব, রাশিয়া, ভেনিজুয়েলা ও কাতার বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে একমত হয়। পরে ইরানও তেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়।
কিন্তু এখন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, বাজারের সরবরাহ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তেল উৎপাদনের বিষয়টি ঠিক করা হবে। রাজতান্ত্রিক সৌদি আরব তার মার্কেট শেয়ার রক্ষা করবে এবং আমরা এই কথাই বলে আসছি।
জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৩০ ডলারের নিচে নেমে আসে। এরপর থেকে ওপেক সদস্য দেশ এবং ওপেকের বাইরের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো বৈঠকে বসার কথা বলে আসছিল।
সেই অনুযায়ী রাশিয়া, সৌদি আরব, কাতার ও ভেনিজুয়েলা দোহা বৈঠকে তেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস