আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাধারণত পরিত্যক্ত রণতরীগুলো স্ক্র্যাপ বা পুরানো যন্ত্রাংশের ভাগাড়ে ফেলা হয়, অথবা কোনো জাদুঘরে নেওয়া হয়, কিংবা সাগরের মাঝখানে নিয়ে কৃত্রিম প্রবালদ্বীপ বানিয়ে রাখা হয়। কিন্তু ভারতে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী এক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই অবসরে যাওয়া পুরাতন একটি রণতরীকে পর্যটনখাতে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকে আয়ের পরিকল্পনা করছে।
‘আইএনএস বিরাট’ ভারতের প্রথম কেনা বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন বিমানবাহী জাহাজ যা- এখনো ভারতের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্রিটেনের কাছ থেকে কেনা এই জাহাজটি ১৯৮০ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে প্রথম নিয়োগ করা হয়। প্রায় ৬০ বছর যাবত ব্যবহৃত হওয়ার পর আসছে জুন মাসে অবসরে যাচ্ছে এটি।
বিরাট এখন তার শেষ নৌভ্রমণ করছে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে। এটি এখন মুম্বাই অবস্থান করছে-যেখানে এটিকে পরিত্যক্ত করা হবে। অবসরের পরেই এটিকে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ভারতীয় পত্রিকা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরিবর্তিত বিরাটে থাকবে ৫০০টি রুম, একটি ৫০০ আসন বিশিষ্ট কনফারেন্স হল। যেহেতু এটি বিমানবাহী জাহাজ, এতে হেলিকপ্টার খুব অনায়াসে নামতে পারে। তাই এটিতে কোনো কনফারেন্স হলে তা পর্যটকদের মাঝে বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করবে।’
জাহাজটিকে ইয়াচ হিসেবে ব্যবহার, সামুদ্রিক খেলাধুলা, সাগরের বুকে ভেসে বেড়ানোর মত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হবে। কোনো কনফারেন্স অনুষ্ঠান করা এবং আনন্দপ্রত্যাশীদের জন্য এটি এখনো অনেক দূরের চিন্তা। ভারতের মত অধিক জনসংখ্যার দেশে মানুষের অবসর কাটাতে এ জাহাজটি ভীড় হওয়ার মতই আবেদন রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিরাট জাহাজটি ছাড়ার পর ভারতীয় নৌবাহিনী বিমানবাহী জাহাজ ছাড়া থাকছে না। তারা অন্য আরেকটি জাহাজের ওপর নির্ভর করবে। একটি সাবেক সোভিয়েত বিমানবাহী জাহাজ ‘বিক্রামাদিত্য’ এ দায়িত্ব নিয়েছে।
নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ নামের ভারতের নিজের তৈরি আরো একটি বিমানবাহী রণতরী কাজে যোগ দিবে ২০১৮ সাল থেকে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস