আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের জলসীমায় বারবার ভারতের ট্রলার ঢুকে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্যের সব মৎস্যজীবীকে সতর্ক করেছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম আজতক বাংলা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বারবার মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে, দেখুন এখন পরিস্থিতি যা, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব ভালো হচ্ছে, কারণ এটা দুটো দেশের ব্যাপার, আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ঝগড়া নেই। আমরা তো ভালোবাসি ওদের।’
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ২০ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের জলসীমা লঙ্ঘন করায় দুটি ট্রলারসহ ৩০ জন মৎস্যজীবীকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের সংশোধনাগারে রয়েছেন৷ তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ গত ১২ অক্টোবর এফবি অভিজিৎ ও এফবি নারায়ণ নামের দুটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মাছ ধরতে ধরতে ভুল করে ভারতীয় জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে ঢুকে পড়ে ট্রলার দুটি। বিষয়টি বাংলাদেশের নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরে আসে৷
এই ধরনের ঘটনার প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ‘আমাদের দুটি ট্রলার আপনারা জানেন বাংলাদেশের জলে গিয়ে আটকে গেছে। আমরা দেখলাম, দুটি ট্রলার গিয়েছিল, তাদের আটক করে রেখেছে বাংলাদেশ। পথ হারিয়ে ফেলেছে, নাকি ভুল করে গিয়েছে, বলতে পারব না। আমরা আইনত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার করছি।
এখন তো অন্য কোনো উপায় নেই। ওই দুটি ট্রলার আটকের পরও আবার তিনটি ট্রলার গেছে। আমরা বারবার মৎস্যজীবীদের সতর্ক করেছি।’
নিজের রাজ্যের মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘দেখুন, এখন পরিস্থিতি যা, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব ভালো হচ্ছে, কারণ এটা দুটো দেশের ব্যাপার, আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ঝগড়া নেই। আমরা তো ভালোবাসি ওদের। ৪৮ জনকে আবার জেলে নিয়ে গেছে। তাদেরও সাহায্য করছি, যতটা পারছি। বাংলাদেশের জেলে আছে, বেঁচে আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তিন দিন আগে বাংলাদেশের একটি ট্রলার এখানে ডুবে যায় ভারতীয় জলে। আমাদের কোস্টাল গার্ড তাদের কিন্তু চারজনকে উদ্ধার করেছে। তাদের কিন্তু আমরা আটকাইনি, ছেড়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। আমরা একই ভাষায় কথা বলি। একই পোশাক পরি, আশা করি দুই দেশের সম্পর্ক ভালো হয়ে যাবে। রাজনীতিতে কখনো কখনো চেহারা বদলায়, কিন্তু সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভালো ভাব থাকে।’