আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ভারতের দিল্লি শহর। একই সঙ্গে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের মানেরও অবনতি হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে বাতাসের মানসূচকে ১৮১ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। ঢাকার বাতাস আজ জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর ২৯২ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। দিল্লির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ২১১; আর ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর; এছাড়া ১৮৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ শহর।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
দিল্লির বাতাস আজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বায়ু সেবন যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। বায়ুদূষণের যে অবস্থা সেখান থেকে সুরক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এরমধ্যে আছে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, খোলা স্থানে ব্যায়াম না করা এবং জানালা বন্ধ করে রাখা।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।