আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৭ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার কাজাখিস্তান সফরকালে তিনি সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে উদ্দেশ করে বলেন, অ্যাঞ্জেলা, আমাকে ক্ষমা করুন।
২০০৭ সালে রাশিয়ার সোচিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। বৈঠক চলাকালীন সময়ে সেখানে আসে পুতিনের পালিত কুকুর কোনি।
কালো রংয়ের ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরটিকে দেখে অস্বস্তি বোধ করেছিলেন মার্কেল। ১৯৯৫ সালে একবার কুকুরের কামড় খাওয়ার পর থেকে কুকুরকে নাকি খুব ভয় পান মার্কেল।
সম্প্রতি প্রকাশিত আত্মজীবনীতে সেই ঘটনা উল্লেখ করে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল লিখেছেন, পুতিন যেকোনো উপায়ে একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, সেটা তার কুকুরকে কোনিকে ব্যবহার করে হলেও।
২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি রাশিয়ার সোচিতে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের সময় সেখানে প্রবেশ করে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কুকুর কোনি।
ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি লিখেছেন, মিটিংয়ের শুরুতে ছবি তোলার জন্য পুতিন এবং আমি যখন পোজ দিচ্ছিলাম। আমি চেষ্টা করছিলাম কুকুরটির দিকে মনোযোগ না দিতে, যদিও কুকুরটি কমবেশি আমার কাছেই নড়াচড়া করছিল।
তিনি লিখেছেন, পুতিনের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল সে ঘটনাটা উপভোগ করছে। একজন দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি কেমন প্রতিক্রিয়া করে সে কি শুধু সেটাই দেখতে চেয়েছিল? এটা কি ক্ষমতার একটি ছোট প্রদর্শনী ছিল? আমি শুধু মনে মনে বলছিলাম, শান্ত থাকো, ফটোগ্রাফারের দিকে মনোযোগ দাও।
এ ঘটনায় এঞ্জেলা মার্কেলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে ২০১৬ সালে জানিয়েছিলেন পুতিন। কাজাখিস্তান সফরে থাকা পুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার ফের ক্ষমা চাইলেন মার্কেলের কাছে। তিনি বলেন, আমি যদি জানতাম তিনি কুকুর ভয় পান তবে কখনোই এটা করতাম না।
গতকাল সাংবাদিকদের পুতিন বলেন, আমি শুধু একটি একটি আরামদায়ক, মনোরম পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। জার্মানিতে বসবাসের অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন, পোষা প্রাণীর প্রতি জার্মানদের একটি খুব ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।
পুতিন বলেন, আমি ভেবেছিলাম সে এটা উপভোগ করবে। কিন্তু পরে জানতে পারি সে কুকুর ভয় পায়। আমি যখনই এটা জানতে পেরেছি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এদিনও সরাসরি মার্কেলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি এই রাশিয়ান নেতা। তিনি বলেন, অ্যাঞ্জেলা, আমাকে ক্ষমা করুন। আমি আপনাকেই কোনভাবেই কষ্ট দিতে চাইনি। আবার যদি কখনো রাশিয়ায় আসেন, আমি এটা আর করব না।