আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরীরে গুরুতর পোড়া ক্ষত নিয়ে কয়েকদিন চিকিৎসা নেবার পর মাত্রই অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে এক বছর বয়সী মেয়ে আশা। কর্তৃপক্ষ বলছে, সুস্থ হবার পর তাকে নাউরো দ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের এক কয়েদখানায় তার মায়ের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
কিন্তু তাকে কয়েদখানায় পাঠিয়ে দেয়ার বিষয়টিনেই বাধ সেধেছেন ডাক্তারেরা। তাদের বক্তব্য ঠিকঠাক বাসযোগ্য পরিবেশের নিশ্চয়তা না পেলে বাচ্চাটিকে ছাড়পত্র দেবেন না তারা। আর তাদের সমর্থনে ব্রিসবেনের ঐ হাসপাতালটির বাইরে এখন বিক্ষোভ করছেন অনেকে।
তাদের বক্তব্য, সীমান্ত উদার হবার আগে অস্ট্রেলিয়ার মানুষের মন খোলা হওয়া দরকার। তবে, দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী পিটার ডাটন বলছেন, শিশুটিকে অভিবাসনের সুযোগ দিলে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে একটি ভুল বার্তা দেয়া হবে যে, এখন হাসপাতালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে।
চিকিৎসা সুবিধার নাম করে কেউ নাগরিকত্ব পাবে না বলে তিনি সতর্ক করে দেন। অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন নীতি অনুসারে নৌকায় করে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের বাধা দেয়া হয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরের নাউরো বা পাপুয়া নিউ গিনির মানাস দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাদের অস্ট্রেলিয়ায় পুনর্বাসনের সুযোগ দেয়া হয় না।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই