মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৩৭:২১

এবার যে গুঞ্জন টিকটক নিয়ে! যা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইলন মাস্ক

এবার যে গুঞ্জন টিকটক নিয়ে! যা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইলন মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধের শঙ্কা কাটিয়ে উঠলেও টিকটকের মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে গুঞ্জন থামছে না। সম্প্রতি ধারণা করা হচ্ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এই জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি কিনতে পারেন। তবে মাস্ক স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। খবর রয়টার্স

‘টিকটক কেনার কোনো আগ্রহ নেই’ – ইলন মাস্ক
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান মিডিয়া কোম্পানি অ্যাক্সেল স্প্রিঙ্গার এসই-এর অংশ দ্য ওয়েল্ট গ্রুপ সম্প্রতি একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন ইলন মাস্ক।
মাস্ক স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি টিকটকের জন্য কোনো বিড করিনি।’

ট্রাম্পের প্রস্তাব, মাস্কের সোজাসাপ্টা জবাব
এই মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘যদি মাস্ক চান, তাহলে তিনি টিকটক কিনতে পারেন।’

তবে মাস্ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার টিকটক কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং যদি এটি আমার মালিকানায় আসেও, আমি কী করব সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি টিকটক ব্যবহার করি না। অ্যাপটির ফরম্যাট সম্পর্কেও খুব বেশি জানি না। তাই এটি কেনার বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই।’

নতুন কিছু গড়তেই বেশি আগ্রহী মাস্ক
ইলন মাস্কের ভাষায়, ‘আমি সাধারণত নতুন কোম্পানি গড়ে তোলায় বেশি মনোযোগ দিই। কেনার চেয়ে নতুন কিছু তৈরি করাকেই আমি বেশি প্রাধান্য দিই।’ অবশ্য টুইটার (বর্তমানে এক্স) কেনার বিষয়টিকে তিনি ‘ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে টিকটকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছে, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১৯ জানুয়ারি।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা আশঙ্কা করছেন, চীনা মালিকানাধীন বাইটড্যান্স কোম্পানি মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের সঙ্গে ভাগ করতে বাধ্য হতে পারে। যদিও টিকটক বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

টিকটক নিষিদ্ধ হলেও মার্কিন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারছেন। ফলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে ব্যবহারকারীরা এখনো অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারছেন।

ট্রাম্পের অবস্থান বদলাচ্ছে?
সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। প্রথম দফার শাসনামলে তিনি টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে এখন বলছেন, অ্যাপটির প্রতি তাঁর ‘এক ধরনের ভালোবাসা’ রয়েছে।

ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের সমর্থন পেতে টিকটক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

শুধু তাই নয়, চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, যার লক্ষ্য এক বছরের মধ্যে অর্থ সংগ্রহ করে টিকটক কেনার উদ্যোগ নেওয়া।

বাইটড্যান্সের অবস্থান
অন্যদিকে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স আগেও জানিয়েছে, তারা টিকটক বিক্রির কোনো পরিকল্পনা করছে না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে